আপনি কি সব সময় ক্লান্ত থাকেন? জেনে নিন কারণ!
শারীরিক ক্লান্তি ও মানসিক উদ্বেগ অধুনিক জীবনের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজের চাপ থেকে সৃষ্টি হওয়া স্ট্রেস ও টেনশন- শরীরের এনার্জিকে নিংড়ে নিচ্ছে। কিন্তু, এর কারণ কী শুধুই কাজ? বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন।
১. শুনলে অবাক হবেন, কিন্তু সত্যি। অফিসে এসি’র হাওয়ায় বসে একটানা কাজের পর বাইরে বেরিয়ে আসলে ক্লান্তি লাগে। অনেকের হালকা মাথা ব্যথাও করে। বিজ্ঞানের ভাষায়,‘Sick Building Syndrome’। তাই কাজের মাঝেমধ্যে এসি ঘরের বাইরে গিয়ে খোলা আকাশের নীচে হেঁটে আসুন। বাড়িতে থাকলেও নির্দিষ্ট সময় ছাড়া এসি ব্যবহার করবেন না।
২. অনেকের স্বভাব আছে, মাঝেমধ্যেই কোল্ড ড্রিঙ্ক পান করা। এতে কিন্তু, ক্লান্তি আরও বেড়ে যায়।
কোল্ড ড্রিঙ্কের অতিরিক্ত চিনিতে শরীরে কোষ-প্রতি জলের ভারসাম্য কমিয়ে দেয়। ফলে রক্ত চলাচলও কমতে থাকে। এর ফলেও ঝিমুনি বা ক্লান্তি দেখা দেয়। তাই কোল্ড ড্রিঙ্কের পরিবর্তে লেবু, টমেটো বা ডাবের শরবত পান করা স্বাস্থ্যকর।
৩. ট্রাকের পিছনে একটা লেখা চোখে পড়ে, ‘হর্ন ওকে প্লিজ’। কিন্তু, আসলে তা নয়। গাড়ির হর্ন অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়। একইভাবে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে জোরে গান শোনাও। দু’ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে ক্লান্তির লক্ষণ দেখা যায়।
৪. অনেকেই পানির পরিবর্তে চা বা ফলের রস পান করেন। কিন্তু, জেনে রাখা ভালো এতে পানির প্রয়োজনীয়তা কমে না। দিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি পান না করলে শারীরিক ক্লান্তি দেখা দেবেই।
৫. অনেকেই ঘুমোনোর আগে শুয়ে শুয়ে ফোন ঘাঁটতে ভালোবাসেন। কিন্তু, এতে শরীরের নির্দিষ্ট নিয়মে পরিবর্তন হয়। রাতে ঘুম আসা স্বাভাবিক নিয়ম। সে সময়ে ঘুমের পরিবর্তে ১ ঘণ্টা মোবাইল বা ল্যাপটপে ব্যস্ত থাকলে, তা ঘুমের ঘাটতিতে পরিণত হবে।
৬. সবকথা মনে নিতে নেই। মনের উপর অতিরিক্ত চাপ ভবিষ্যতে শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই কোন বিষয়ে কী গুরুত্ব দেবেন। তা বোঝা জরুরি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন