আপোষহীন নির্বাচন দিয়ে ঢাকায় ভোট উৎসব চায় ইসি
২০১৫ সালে হওয়া ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো এবার আর ভোট বর্জন নয় বরং ভোট উৎসবের নির্বাচন হবে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে সবার সমান সুযোগ নিশ্চিতের নিশ্চয়তা দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে কমিশন আপোষহীন। তবে এব্যাপারে সরকারের সহযোগিতার মনোভাব ও সদিচ্ছাও প্রয়োজন। বেগম খালেদা জিয়া দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারণা চালাতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই।
মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের শূন্যপদে উপ-নির্বাচন ও ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নবগঠিত ৩৬টি ওয়ার্ডের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সফলতার পর রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন কে এম নূরুল হুদা।
তফসিল ঘোষণার পর ঢাকা সিটি কর্পোরেশন গত নির্বাচনের উদাহরণ টেনে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আপোষহীন। নির্বাচন সফল করতে আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবো এক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কোনো রকম আপোষ করবো না।
গতবার নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না অভিযোগে ভোটগ্রহণের ৪ ঘণ্টার মাথায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। এবার কী সেরকম সুযোগ কেউ পাবে?
এই প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন: তারা কেন নির্বাচন বর্জন করেছিলেন সেটা তারাই বলতে পারবেন। আমাদের তরফ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কারও সুবিধা-অসুবিধার সঙ্গে কোনো রকম সমঝোতার সুযোগ নেই। অবশ্যই আমরা আশা করবো বিএনপিসহ অন্য সবাই এই নির্বাচনে অংশ নেবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের কোন বাধা নেই এবং আইনশৃংখলা বাহিনীও এসব ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
তফসিল ঘোষণা
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বেলা ১২টায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটির সম্প্রসারিত অংশের নবগঠিত ওয়ার্ডে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি জানান, নির্বাচনে প্রার্থিতার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৮ জানুয়ারি। রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ২১ ও ২২ জানুয়ারি। প্রার্থিতা পাবার পর ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি।নির্বাচন
এই নির্বাচনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে অন্তত ২টি কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) চালু করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করে ৩ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত মেয়র ১৩ মে ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন