আয় বেড়েছে সাতক্ষীরা-১ আসনের এমপির, কমেছে সাতক্ষীরা-২’র এমপির, সবচেয়ে ধনী প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সাতক্ষীরা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির আয় কমেছে। আর আয় বেড়েছে সাতক্ষীরা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহের।

সাতক্ষীরার ৪টি আসনের ৩৬জন প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে ধনী প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহের বার্ষিক আয় ১০ বছরে ৯ গুনেরও বেশি পৌছেছে। অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ২৫ গুনেরও বেশি। আর স্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩ গুনেরও বেশি। বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে অবশ্য সংসদ সদস্যের সম্মানি যোগ হয়েছে।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে দেখা যায়, তিনি ও তার স্ত্রী যথাক্রমে আইন ও শিক্ষকতা পেশা থেকে বার্ষিক আয় করতেন ৪ লাখ ২ হাজার টাকা। দশ বছরের ব্যবধানে বর্তমানে তার বার্ষিক আয় ৩৮ লাখ টাকা। এতে অবশ্য ২৬ লাখ টাকা রয়েছে তার সংসদ সদস্য হিসেবে পাওয়া সম্মানি। দশ বছরে অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ২৫ গুন। ২০১৪ সালে তার থাকা ৪ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ১১ লাখ টাকার স্থাবর সম্পত্তি বেড়ে হয়েছে ৩৭ লাখ টাকা।

সাতক্ষীরার ৪টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে ধনী প্রার্থী হলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আফম রুহুল হক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে দেখা যায়- তার বার্ষিক আয় দেড় কোটি টাকারও বেশি। তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মুল্যমান প্রায় ১৯ কোটি টাকা।

সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির আয় কমেছে। ২০১৮ সালের হলফনামায় দেখা যায়- বাড়ি ভাড়া, ব্যবসা ও সংসদ সদস্য হিসেবে প্রাপ্য সম্মানী মিলিয়ে তার বার্ষিক আয় ছিল ৩০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। আর এবারের হলফনামায় তিনি তার বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ২৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে সামান্য পরিমাণ। ২০১৮ সালে তার অস্থাবর সম্পত্তির মূল্যমান ছিল ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পত্তির মুল্য ৬৬ লাখের স্থলে হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ টাকা।