আর্মি স্টেডিয়ামে মেয়রের শেষ শ্রদ্ধায় জনতার ঢল
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে নেয়া হয়েছে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে শেষবারের মতো দেখবে এবং শ্রদ্ধা জানাবে। শনিবার বিকাল সোয়া তিনটার দিকে তার মরদেহ বনানীর বাসভবন থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে আনা হয়।
মেয়রকে শেষবারের মতো দেখতে দুপুরের আগ থেকেই জনসাধারণ আর্মি স্টেডিয়ামে আসতে থাকে। ইতোমধ্যে হাজার হাজার শোকাহত মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছেন।
আর্মি স্টেডিয়ামে অবস্থান করছেন মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও রয়েছেন। এছাড়া সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হয়েছেন মেয়রকে শেষ বিদায় জানাতে।
এখানে শ্রদ্ধা শেষে বাদ আসর আনিসুল হকের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
শনিবার বেলা দেড়টার দিকে আনিসুল হকের মরদেহ বহনকারী গাড়ি ২৩ নম্বর সড়কের বাসায় পৌঁছে। এ সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সৃষ্টি হয় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের।
এর কিছুক্ষণ পর বাসায় আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি প্রায় ৩০ মিনিট অবস্থান করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আনিসুল হকের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানান। তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
আনিসুল হকের মরদেহবাহী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি বেলা পৌনে একটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁর মরদেহ বনানীর বাসায় আনা হয়।
বিমানবন্দরে পরিবারের পক্ষ থেকে আনিসুল হকের মরদেহ গ্রহণ করেন মেয়রের ছোটভাই সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মো. শফিউল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ বিশিষ্টজনেরা।
মেয়র আনিসুল হক দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ অবস্থায় লন্ডনে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে ইন্তেকাল করেন।
চলতি বছরের ২৯ জুলাই তিনি যুক্তরাজ্যে গমন করেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরো সায়েন্স হসপিটালে ভর্তি ও আইসিইউতে রাখা হয়। গত ১৩ আগস্ট চিকিৎসকরা তার মস্তিষ্কের রক্তনালীতে প্রদাহজনিত সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিস শনাক্ত করেন। পরে তাকে ৩১ অক্টোবর আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলেটেশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়।
২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং বিজিএমইএ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আনিসুল হক ১৯৫২ সালে ২৭ অক্টোবর নোয়াখালীর কবিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন