আলীকদমে বিরল প্রজাতির পাহাড়ি কচ্ছপ উদ্ধার
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদরের ম্রো কমপ্লেক্স থেকে বিরল প্রজাতির ৯টি পাহাড়ি কচ্ছপ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা এসব কচ্ছপ কক্সবাজারের ডুলা হাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ছেড়ে দেওয়া হবে।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার আলীকদম উপজেলা সদরের ম্রো কমপ্লেক্স এলাকা থেকে এসব বিরল প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শাহরিয়ার সিজার নামের একজন পরিবেশ গবেষককে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে- নাকি আটক রাখা হয়েছে- এ বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশ বলছে, গতকাল শনিবার রাতে আটক কচ্ছপসহ তাকে লামা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বন বিভাগের তৈন রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকতা (আরও) একই তথ্য দিলেও লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বলেন, শাহরিয়ার সিজার নামের কোনও ব্যক্তি আটকের বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি।
স্থানীয়ভাবে পরিবেশবিদ বা এনজিওকর্মী হিসেবে পরিচিতি রয়েছে শাহরিয়ার সিজারের। তবে সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণি পাচারের অভিযোগ করেন।
এদিকে, অভিযুক্ত শাহরিয়ার সিজার দাবি করেন, তিনি একজন পরিবেশবিদ। পাচারকারী নয়, বরং বিরল প্রাণি নিয়ে গবেষণাকারী হিসেবে দেশ-বিদেশে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। বিরল প্রজাতির প্রাণিদের বংশ বাড়াতে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তিনি কচ্ছপগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন।
লামা বন বিভাগের তৈন (আলীকদম) রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার শামসুল হুদা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, রবিবার ১ অক্টোবর সকালে অভিযুক্ত শাহরিয়ার সিজারকে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) কাছে পাঠানো হয়েছে।
তবে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন দাবি করেন, শাহরিয়ার সিজা নামের কোনও ব্যক্তি বা কোনও কচ্ছপ তার দপ্তরে পাঠানো হয়নি। তিনি জানান, আটক বিরল প্রজাতির পাহাড়ি কচ্ছপগুলো আলীকদম উপজেলা সদরের পান বাজার ফরেস্ট বিটে রাখা হয়েছে। কচ্ছপ পাচারের বিষয়ে রবিবার দুপুর পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “জটিল হওয়ায় এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। ”
আলীকদম থানার ওসি কাজী সাইদুর রহমান জানান, মুরুং কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করা কচ্ছপগুলো শনিবার রাতে স্থানীয় বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃত ব্যক্তির দেখানো ‘অনুমোদন’ কপিসহ তাকে রবিবার লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আলীকদম মুরুং কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক ইয়োংলক মুরুং জানান, কমপ্লেক্স এলাকায় কচ্ছপ রাখার বিষয়ে তিনি জানেন না। পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পাসিং ম্রো কারো অনুমতি না নিয়েই কচ্ছপগুলো কমপ্লেক্সে রেখেছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন