শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ আব্দুল মান্নান ‘নামে-বেনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চালানো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের প্রতিবাদে’ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পিপি অ্যাডভোকেট মান্নান বলেন, “আমি ১৮ নভেম্বর ২০২৪ সালে সরকারিভাবে পিপি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে রাষ্ট্রপক্ষে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সততা, নিষ্ঠা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। একইসাথে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের স্বজনদের দায়ের করা মামলাগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গ্রেফতার হওয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের জামিনের বিরোধিতা করেছি।”

তিনি আরও জানান, “গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে শেরপুর সদর থানার মামলা নং-২১ (জি.আর নং-৫৯১/২৪, বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ধারা ১৫(৩)/২৫-ডি) এর এজাহার বহির্ভূত আসামি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালের জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আমি রাষ্ট্রপক্ষের পিপি হিসেবে যথারীতি আসামির জামিনের ঘোর বিরোধিতা করি। বিজ্ঞ আদালত আসামিকে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিন প্রদান করেন। এটি আদালতের নিজস্ব বিচারিক ক্ষমতার অংশ; এখানে পিপির কোনো প্রভাব নেই।”

অ্যাডভোকেট মান্নান অভিযোগ করেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিছু ষড়যন্ত্রকারী ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব বিভ্রান্তিকর প্রচারণা আমার পেশাগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। আমি ইতোমধ্যেই সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং-৪১, তারিখ-০১/১০/২৫) করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষের জোরালো বিরোধিতার কারণে প্রায় এক বছর আগে দায়ের হওয়া ৬টি মামলায় চন্দন কুমার পাল জেলা জজ আদালত থেকে জামিন নিতে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। এসব অপপ্রচার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ এবং আমার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা।”

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হযরত আলীসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।