আসছে চীনের টিকা, শুরুতে এক হাজার জনের ওপর পরীক্ষা
চীনের উপহারের ৫ লাখ ডোজ করোনা টিকা দেশে আসছে আগামী ১০ মে’র মধ্যে। সোমবার (৩ মে) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এতথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভ্যাকসিন যেখানে পাওয়া যাবে, সেখান থেকেই আনা হবে। এ ছাড়া অ্যাস্ট্র্যাজেনেকা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ যথাসময়ে পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী ১০ মের মধ্যে চীন থেকে পাঁচ লাখ করোনার ভ্যাকসিন আসবে।
এদিকে চীনের টিকা দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে গণহারে প্রয়োগ না করে টিকার কার্যাকারিতা যাচাই করতে প্রথমে এক হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছে ঔষুধ প্রসাশনের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, এক হাজার জনকে টিকা দেওয়ার পর মান যাচাই ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা পর্যবেক্ষণের জন্য এক সপ্তাহ টিকার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। যদি কোনো ধরনের সমস্যা দেখা না দেয়, তাহলেই কেবল গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে টিকা দেওয়া হয়েছে ৮৬ লাখ ২৫ লাখ ৩৫০ ডোজ। সরকারের কাছে টিকার মোট মজুত ১ কোটি ৩ লাখ। সেই হিসেবে আর মাত্র ১৭ লাখ টিকা অবশিষ্ট রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখের উপরে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হচ্ছে। সে হিসেবে সরকারের টিকার মুজত শেষ হচ্ছে আগামী সপ্তাহের মধ্যে। টিক কার্যক্রম এর পরও অব্যাহত রাখতে এ সপ্তাহের মধ্যে নতুন টিকা দেশে আসতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা হলে বেইজিং বিমানবন্দর থেকে যে কোনো দিন দেশে আসবে চীনের সিনোফার্ম উৎপাদিত ‘বিবিআইবিপি-সিওরভি টিকা। প্রথমে উপহারের ৫ লাখ ২ হাজার চারশ ডোজ টিকা আসছে।
এছাড়া রাশিয়ার টিকা ‘স্পুটনিক ভি’ ৪০ লাখ ডোজ আসার কথা রয়েছে মে মাসের মধ্যে। ওষুধ প্রশাসন এটিরও অনুমোদন দিয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন