আড়াই হাজার বছরের পুরনো জিমনেশিয়াম!

মিশরে আড়াই হাজার বছরের পুরনো জিমনেশিয়ামের (শরীরচর্চা কেন্দ্র ) সন্ধান মিলেছে। ।

সেই তৃতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দের জিমনেশিয়ামকে মাটি খুঁড়ে বের করা হয়েছে।

গবেষকদের দাবি, এটা প্রাচীন হেলেনিস্টিক বা গ্রিক আমরের এক নিদর্শন। কায়রোর ৫০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে ফেওম প্রদেশের ওয়াতফায় ঐতিহাসিক এই জিমনেশিয়ামটি খুঁজে বের করেন জার্মান ও ঈজিপশিয়ান পুরাতত্ত্ববিদদের একটি যৌথ দল। এটি তৈরি হয়েছিল ২ হাজার ৩০০ বছর আগে।

তৃতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দে রাজা পোলেমি দ্বিতীয়ের গড়ে তোলা প্রাচীন ফিলোতেরিস গ্রামের একটি এলাকা ওয়াতফা। এই স্থানের নাম রাখা হয় তার বোন ফিলোতেরার নামে। এসব তথ্য জানায় মিশরের অ্যান্টিকুইটিস মিনিস্ট্রি।

অ্যানসিয়েন্ট ঈজিপশিয়ান অ্যান্টিকুইটিস সেক্টরের প্রধান ড. আয়মান আশমাওয়ি জানান, এই শরীরচর্চা কেন্দ্রটি কিন্তু বিশাল। এর মধ্যে রয়েছে সভা করার বড় এক হল।

এগুলোতে শোভা পেত বিভিন্ন ভাস্কর্য।
আরো আছে ডায়নিংয়ের একটি বড় অংশ। এর মধ্যে ২০০ মিটার লম্বা দৌড়ানোর ট্র্যাকও রয়েছে। গোটা ব্যায়ামাগারকে ঘিরে রেখেছে একটি বাগান।
জার্মান আর্কিওলজিক্যাল ইনস্টিটিউট (ডিএআই) এর বিশেষজ্ঞ এবং এই দলের প্রধান ড. কর্নেলিয়া রোমার জানান, প্রাচীন গ্রিকদের শরীরচর্চা কেন্দ্রগুলোতে ধনীদের আনাগোনা ছিল। গ্রিকদের উঁচু শ্রেণির তরুণরাই মিশরে এসে প্রশিক্ষণ প্রদান করতেন। সেই সঙ্গে অধ্যয়ন এবং লেখালেখি করতেন। মিশরের এই ব্যায়ামাগার একই কাজে ব্যবহৃত হতো।

এ আবিষ্কার মিশরীয়দের জীবেন গ্রিকদের প্রভাব স্পষ্ট প্রকাশ করে। এটা কেবল আলেকজান্দ্রিয়াতেই ছিল তা নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানেও দেখা গেছে।

প্রাচীন আমলের ব্যায়ামগারের আবিষ্কার একেবারে নতুন চমক। এর মাধ্যমে আরো নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসবে। গত সপ্তাহেই বিজ্ঞানীরা গ্রেট পিরামিড অব গিজার ভেতরে এক রহস্যময় স্থান খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

গেলো সেপ্টেম্বরে পুরাতত্ত্ববিদরা রাজা রামসেস দ্বিতীয় এর এক মন্দির আবিষ্কারের তথ্য দিয়েছেন। আগস্টে মিশরের নীল ভ্যালিতে মাটি খুঁড়ে তিনটি প্রাচীন সমাধিস্থল বের করা হয়েছে। তারও মাসখানেক আগে বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, এক সমাধি রাজা তুতেনখামেনের স্ত্রীর।

জুনে ইয়েল এবং বেলজিয়ামের রয়াল মিউজিয়াম অব আর্ট অ্যান্ড হিস্ট্রি’র পুরাতত্ত্ববিদরা এক বিলবোর্ড সাইজের হায়ারোগ্লিফিক্সের সন্ধান পেয়েছেন। এটা পাওয়া যায় প্রাচীন শহর এলকাবে।