ইউক্রেনের বন্দরে রকেট হামলার শিকার বাংলাদেশি জাহাজ, জেনে নিন বিস্তারিত ঘটনা (ভিডিও)
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোরে এই হামলা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার হামলার অষ্টমদিন। রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।
গত সাত দিনে রুশ সেনারা ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে অভিযান চালিয়েছে। একযোগে বিভিন্ন দিক থেকে অভিযান চালিয়ে রাশিয়া এখন পর্যন্ত দখলে নিয়েছে কয়েকটি নগরী।
এরই মধ্যে রুশ বাহিনীর এই অভিযানে রকেট হামলার শিকার হয়েছে বাংলাদেশের একটি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে আটকা পড়েছিল এটি। হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান নিহত হয়েছেন।
নিহত নাবিক হাদিসুর রহমান আরিফ বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৩ নম্বর হোসনাবাদ ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে। তার চাচা বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান।
হামলায় হাদিসুরের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট সাজিদ হুসাইন।
জানা গেছে, ইউক্রেনের স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে (বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে) বাংলাদেশের জাহাজটিতে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান নিহত হলেও বাকি সবাই ভালো আছেন।
এ ঘটনায় সাজিদ হুসাইন নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যা তুলে ধরা হল-
“এমভি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলা হয়েছে। একজন বাদে বাকি সবাই অক্ষত। কিছুক্ষণ আগে বাংলাদেশ সময় (২ মার্চ ২০২২) রাত প্রায় ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে জাহাজের ব্রিজে রকেট হামলা হয়েছে। সবার সাহসী তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। সবাই আল্লাহর কাছে ওদের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করি। গভীর বেদনার সাথে জানাচ্ছি যে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মৃত্যুবরণ করেছেন।
যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে আটকে পড়ে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। জাহাজটিতে ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন। জাহাজটি বর্তমানে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দর চ্যানেলে নোঙর করা আছে। রকেট হামলার পরে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে।
বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়। সেখান থেকে কার্গো নিয়ে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেয় শিপিং কর্পোরেশন। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ। এরপর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।”
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন