ইতিহাসে লালমনিরহাটের কাকিনা জমিদারবাড়ি

কাকিনা একটি সুপ্রাচীন, সুপ্রসিদ্ধ ও ইতিহাস খ্যাত জনপদের নাম। তদানীন্তন ভারত বর্ষের পূর্বপ্রান্তের সভ্যতার যে সুপ্রাচীন ও সুপ্রসিদ্ধ লীলাভূমি গড়ে উঠেছিল, তারই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল কাকিনা। হিমালয়ের পাদদেশে তিস্তা, ব্রক্ষ্মপুত্র, করতোয়া ও ধরলা নদী বিধৌত বৈচিত্র্যময় জনপদ কাকিনা প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই সভ্যতার আলোয় উদ্ভাসিত ছিল। মহাভারতের ও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের তথ্যবিচারে যিশুখ্রিস্টের জন্মের প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগেও ভারত বর্ষের পূর্ব প্রান্তের এই জনপদটিতে সভ্যসমাজের অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল। এরপর এখানে প্রাগজ্যোতিষ, লৌহিত্য, কামরুপ ও কামতা রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আরো পরে বর্মা ও পাল রাজবংশসহ বেশ কয়েকটি রাজ বংশ এই অঞ্চলে রাজত্ব স্থাপন করেছিল। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় মহারাজ বিশ্বসিংহ (বিশু) ১৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে কোচবিহার রাজ্যের গোড়াপত্তন করেন। আর এই কোচবিহার রাজ্যের ছয়টি পরগনার মধ্যে ছিল একটি কাকিনা।

জমিদার বাড়ির শুরুতে কাকিনা পরগনার আয়তন ছিল প্রায় দুইশত পঞ্চাশ বর্গমাইল। পরবর্তী এই পরিধি আরো বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়ে ছিল প্রায় চারশত বর্গমাইল। বর্তমানে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা ব্যতীত প্রায় পুরো লালমনিরহাট জেলাই কাকিনা জমিদারির আওতাভুক্ত ছিল। এছাড়া পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং রংপুরের মাহিগঞ্জসহ ভারতবর্ষের আরো অনেক স্থানে কাকিনা জমিদারির জোত ও তালুক ছিল। উত্তরবঙ্গের নাটোরের পরেই দ্বিতীয় বৃহত্তম জমিদারি ছিল কাকিনা। সে সময় কাকিনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল এর শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং বিশাল প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড।

বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেমন একটি দেশ কিংবা জনগোষ্ঠীর নাম নির্ধারিত হয়, তেমনি কাকিনার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ছিলনা। আজকের কাকিনের নামটি অতীতের কংকনা, কংকানিয়া, কানকিনা, কৈকিনা, কিংবা কাকিনিয়া বা কখনো কাকিনী ইত্যাদি নামে পরিচিত ছিল।

কাকিনা রাজ এস্টেটের দাপ্তরিক কাজের শেষ দিন পর্যন্ত কাকিনীয়া নামটি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে কাকিনার রাজা মহিমা রঞ্জন রায় চৌধুরীর আমলে দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি কাকিনার নামটির প্রচলন লক্ষ্য করা যায়।

১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে মোগলদের দেয়া সনদবলে কাকিনীয়া বা কাকিনা জমিদারির সূচনা হয়। এসময় ঘোড়া ঘাটের মোগল ফৌজদারি ছিলেন বাংলার সুবাদার শায়েস্তা খাঁর পুত্র এবাদত খাঁ। তিনি কোচবিহারের রাজা মাহিন্দ্র নারায়নের সঙ্গে এক যুদ্ধ কোচ রাজ্যের ছয়টি পরগনার মধ্যে কাকিনা, ফতেপুর ও কাজিরহাট পরগনার তিনটি দখল করেন। তখন কাকিনা পরগনার চাকলাদার ছিলেন ইন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী এবং দিল্লিতে মোগল সম্রাট ছিলেন আওরঙ্গজেব।

এবাদত খাঁ পরগনার তিনটি দখল করে নেওয়ার পর কোচবিহারের নাজির শান্ত নারায়ণকে পরগনার কর নির্ধারনপূর্বক এর জমিদারির বন্দোবস্ত করে নিতে বলেন। কিন্তু নাজির শান্ত নারায়ণ এতে অসম্মত হলে ফৌজদারি এবাদত খাঁ কাকিনা পরগনার চাকলাদার ইন্দ্র নারায়ণের এক প্রভাবশালী কর্মচারী রঘুরামের পুত্র রামনারায়ন চৌধুরীকে কাকিনা জমিদারির সনদ প্রদান করেন।

রামনারায়ন চৌধুরী ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে থেকে ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত কাকিনার জমিদারি পরিচালনা করেন। এরপর তাঁর মৃত্যু হলে তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র রাজা রায় চৌধুরী কাকিনা জমিদারির দায়িত্ব গ্রহন করেন। রাজা রায় চৌধুরী ১৭২৭
খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত কাকিনার জমিদার ছিলেন। এরপর তার মৃত্যু হলে তাঁর কনিষ্ঠ ভ্রাতা রায় চৌধুরী ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দে থেকে ১৭৬৮ খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত জমিদারি পরিচলনা করেন। এরপর তাঁর একমাত্র পুত্র রসিক রায় চৌধুরী কাকিনার জমিদার নিযুক্ত হন। কিন্তু তাঁর কোন পুত্র সন্তান না থাকায় ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী অলকানন্দা চৌধুরানী জমিদারির দায়িত্ব গ্রহন করেন। কিন্তু তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের দুবছর পর ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে কাকিনসহ সারা বাংলায় খরায় সৃষ্ট প্রাকৃতিক দূর্যোগে ভয়াবহ দূর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এসময় প্রজারা খাজনা পরিশোধ না করার কারনে অলকানন্দা চৌধুরানী পক্ষে জমিদারি পরিচালনা করা অসম্ভব হলে তিনি রামদুলাল নামে এক ব্যক্তির নিকট জমিদারির ইজাদার নিযুক্ত করে কলকাতার পাড়ি জমান। কিন্তু রাম দুলালের অত্যাচারে ও উৎপীড়নে সাধারণ প্রজারা অতিষ্ঠ হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং কাচারী বাড়ী পুড়িয়ে দেয়। অবশেষে রাজা সৈন্যদের সহায়তায় রামদুলাল পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। এই সংবাদ পেয়ে অলকানন্দা চৌধুরানী কলকাতা থেকে কাকিনায় ফিরে রংপুরের তৎকালীন কালেক্টর মুর সাহেবের আবেদন জানিয়ে ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁর দত্তপ পুত্র রামরুদ্র রায় চৌধুরীর নামে কাকিনা জমিদারির নাম জারির ব্যবস্থা করেন।

রামরুদ্র রায় চৌধুরী ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮২০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কাকিনার জমিদার ছিলেন। এরপর তাঁর পুত্র ভৈরব রায় চৌধুরী ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কাকিনা জমিদারি পরিচালনা করেন। এভাবে ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভৈরব রায় চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র কালী চন্দ্র রায় চৌধুরী এবং ভ্রাতুষ্পুত্র শ্রীনাথ চৌধুরী ভাগাভাগি করে কাকিনা জমিদারি পরিচালনা করেন। ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে শ্রীনাথ চৌধুরীর মৃত্যু হলে তাঁর একমাত্র পুত্র দ্বারকানাথ চৌধুরীর কাকিনার জমিদার নিযুক্ত হন। কিন্তু তিনি ছিলেন নিঃসন্তান। তাই ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ কালে ভৈরব পায়েল চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র শম্ভুচরণ রায় চৌধুরী কাকিনার জমিদার হন।তিনিও নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি কৈলাশ রঞ্জন রায় চৌধুরী এবং মহিমা রঞ্জন রায় চৌধুরী নামে দুজন দত্তকপুত্র রেখে ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু বরণ করেন।

১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ১৮ বছর বয়সে কৈলাশ রঞ্জন রায় চৌধুরী মারা গেলে মহিমা রঞ্জন রায় চৌধুরী কাকিনা জমিদারির দায়িত্ব গ্রহন করেন। ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে ১৬ ই ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজা উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি মৃত্যু বরণ করলে তাঁর একমাত্র পুত্র মহেন্দ্র রঞ্জন রায় চৌধুরী কাকিনার রাজা হন। মহেন্দ্র রঞ্জন রায় চৌধুরী কাকিনা জমিদারির সর্বশেষ রাজা ছিলেন। তাঁর সময়ে আর্থিক সংকটের কারনে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে কাকিনার জমিদারি নিলামে উঠে এবং ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে কোর্ট ওয়ার্ডসে জমিদারি ন্যস্ত করে রাজা মহেন্দ্র রঞ্জন রায় চৌধুরী সপরিবারে ভারতে কার্শিয়াং চলে যান। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি কার্শিয়াং এ মৃত্যু বরণ করেন।

কাকিনার জমিদারদের আদিনিবাস ছিল ফরিদপুরের ভূষনা পরগনার গাজনা গ্রামে যা বর্মানে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুরে। বিখ্যাত ইংরেজ পর্যটক বুকানন হ্যামিলটন তাঁর রিপোর্টে কাকিনার জমিদারদের কোচবিহার রাজার আত্মীয় বলে উল্লেখ করেছেন।

কাকিনার জমিদারগণ প্রজাবৎসল, জনহিতৈষী ও সাহিত্যানুরাগী ছিলেন। তাঁরা প্রজা সাধারনের পানীয় জলের সু-ব্যবস্থার জন্য অসংখ্য বড় বড় কূপ ও দীঘি খনন করেছিলেন। যেগুলোর দৃষ্টান্ত আজো কাকিনায় দেখতে পাওয়া যায়। ইংরেজ পর্যটক বুকানন হ্যামিলটন ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে কাকিনা ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি তাঁর বৃত্তান্তে কাকিনাকে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে সু-সুজ্জিত জমিদারি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

শিক্ষার প্রতি কাকিনার জমিদারিদের অকৃত্রিম অনুরাগ ছিল। জমিদারির শুরু থেকে কাকিনার প্রত্যেক জমিদার বিষয় সম্পত্তির পাশাপাশি শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ নানা
জনকল্যানমূলক কর্মকাণ্ডে মনোনিবেশ করেছিলন। অগ্রগতির এই ধারা পরবর্তীতে
শম্ভুচরণ রায় চৌধুরীর হাতে পূর্ণতা পেয়েছিল। তাঁর আমলে কাকিনায় সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নত সাধিত হয়েছিল। তাঁর সময় নির্মিত শম্ভুচরণ চ্যারিটেবল হসপিটালটি ছিল জমিদারদের পরিচালিত একমাত্র পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল। এর ইনডোর ও আউটডোর চিকিৎসা সেবার সুবিধা ছিল। পরবর্তীতে এটি রানী শান্তিবালা চ্যারিটেবল হসপিটাল নামে পরিচিত হয়। আজও সেখানে একটি সুন্দর ক্লিনিক রয়েছে।

শম্ভুচরণ রায় চৌধুরী একজন বিদ্যানুরাগী জমিদার ছিলেন। তিনি নিজেও একজন সুপণ্ডিত ছিলেন। তাঁর আমলে কাকিনায় নিয়মিতভাবে সাহিত্য সভা বসত। সে সভায় হিন্দু-মুসলিম-ব্রাক্ষ্ম সব ধর্মমতের পন্ডিতদের সরব উপস্থিতি ছিল।

কাকিনার মহিমাকে আরো বিস্তৃত করেছিলেন রাজা মহিমা রঞ্জন রায় চৌধুরী। তিনি রংপুরের মাহিগঞ্জে বঙ্গ বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি এটিকে কৈলাশ রঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয় নামে নাম করন করে রংপুর শহরে স্থানান্তরিত করেন যা আজো শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। তাঁর সময়ে কাকিনা জমিদারিতে মহিমাগঞ্জ, তিস্তা, মহেন্দ্রনগর, লালমনিরহাট, আদিতমারী, মোগলহাট ও কাকিনা রেলস্টেশন স্থাপিত হয়। রাজা মহিমা রঞ্জন রায় চৌধুরী রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি রংপুর থিয়েটার হল নির্মাণের জন্য জমি দান করে ছিলেন। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় রংপুর স্বারস্বত সভা গড়ে উঠে। তিনি এবং রংপুর তাজহাট ও
মন্থনার জমিদারদের উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতায় রংপুর ধর্ম সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বগুড়া উডবার্ণ লাইব্রেরীতে বিশাল অংকের অনুদান দিয়েছিলেন।

পিতার মতই মহেন্দ্র রঞ্জন রায় চৌধুরীও উদার ও দানশীল রাজা ছিলেন। তিনি কাকিনাতে তাঁর পিতার নামকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে কাকিনা মহিমা রঞ্জন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। আজো উত্তরাঞ্চলের সুপ্রাচীন ও সু-প্রতিষ্ঠিত বিদ্যাপীঠ হিসেবে চারদিকেতা শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। রংপুর কারমাইকেল কলেজ প্রতিষ্ঠায় রাজা মহেন্দ্র রঞ্জন রায় চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতা ছিল উল্লেখ করার মতো। তিনি কাকিনার পাবলিক লাইব্রেরী থেকে প্রায় পাঁচ হাজার অমূল্য বই কারমাইকেল কলেজ দান করেছিলেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। তাঁর এ অনুদানে টাকায় বেঙ্গল এ্যাম্বুলেন্স কোর গঠন করা হয়েছিল। এই কোর বাহিনী মেসোপটেমিয়া বা ইরাক পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিল। তিনি তাঁর পূর্ব পুরুষদের প্রবর্তিত সকল প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক ও জনকল্যাণমূলক অনুদান ও পৃষ্ঠপোষকতা তাঁর শেষ দিন পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছিলেন।

কাকিনা জমিদারির সবকিছুই আজ কেবলই স্মৃতি। কাকিনায় এলে হয়তো জমিদারির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখতে পাবেন না। তবে কাকিনা জমিদারির প্রাণকেন্দ্রে আজ গড়ে উঠেছে জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ উত্তর বাংলা কলেজ। এর পাশেই রয়েছে রাজার স্মৃতি বিজড়িত কাকিনা মহিমা রঞ্জন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়। আরো রয়েছে কাকিনা জনমিলন কেন্দ্র, কাকিনা মিশন হাউস, কাকিনা কাচারি ঘর। ভগ্নদশা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে কাকিনা রাজার হাওয়া খানা। রাজবাড়ীর এসব স্মৃতি ঘুরে দেখতে দেখতে চলে যাওয়া যাবে সেই বিখ্যাত কবিতা “ কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর? ”- এর রচয়িতা কবি শেখ ফজলল করিম এর স্মৃতি বিজড়িত বাড়ী। তাই সময় করে চলে আসতে পারেন যে কেউ যে কোন দিন। লালমনিরহাট জেলা শহর থেকে কুড়ি কিলোমিটার পশ্চিমে একমাত্র মহাসড়কে ধরে বাসে চড়ে কাকিনায় নেমে রিকশা করে অথবা পায়ে হেঁটে হেঁটে দেখতে পারেন কাকিনা জমিদারির কিছু স্মৃতি চিহ্ন।