ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো প্রতারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : ডিএমপি

ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো যেসব প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার। শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ডিএমপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জসহ এমন আরও প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা প্রতারণা করেছে। বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্যে পণ্য বিক্রির অফার দিয়ে যারা গ্রাহকদের পণ্য দেয় না। তারা মূলত প্রতারণা করছে। এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

এসময় এ কে এম হাফিজ আক্তার আরও বলেন, ‘এ ধরনের প্রতারকদের বেশি বেশি ধরা হলে ধীরে ধীরে প্রতারণা কমে আসবে। আমরা চাই সুন্দর একটি ই-কমার্স প্লাটফর্ম ফিরে আসুক। দেশে ই-কমার্স প্রসারিত হোক।’

প্রসঙ্গত, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকপক্ষ প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় এমন অভিযোগ জানিয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ই-অরেঞ্জের মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, মালিক বীথি আকতার, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদসহ প্রতিষ্ঠানটির সব মালিককে আসামি করা হয়। ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ তিনজন এখন কারাগারে।

এদিকে গত বুধবার ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণা মামলা দায়ের করেন এক গ্রাহক। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। -আমাদের সময়