ইরানে মাশা আমিনির মৃত্যুর জেরে ‘দাঙ্গার’ দায়ে প্রথম মৃত্যুদণ্ড

ইরানে সাম্প্রতিক ‘দাঙ্গায়’ জড়িত থাকার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। খবর ডয়েচে ভেলে ও এএফপির।

ইরানের বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার রাজধানী তেহরানের একটি আদালত এ মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন।

ইরানে নীতি-পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সি কুর্দি নারী মাশা আমিনির মৃত্যুর জেরে দেশটিতে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে। এ বিক্ষোভের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ‘দাঙ্গায়’ দেশটিতে প্রথম কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।

যে ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাঁর নাম-পরিচয় জানানো হয়নি। তবে ইরানের বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে বলা হয়, একটি সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগ, জনশৃঙ্খলা বিঘ্ন, জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনে ষড়যন্ত্র, দুনিয়ায় দুর্নীতি, স্রষ্টার বিরুদ্ধতার অপরাধে ওই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কঠোর বিধি মেনে হিজাব না পরার অভিযোগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাশাকে তেহরান থেকে আটক করে ‘নীতি-পুলিশ’। আটকের পর পুলিশি হেফাজতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে তেহরানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নির্যাতনে মাশার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে ইরানের মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে এই বিক্ষোভ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

চলমান বিক্ষোভে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ৩২৬ জন নিহত হয়েছেন। নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) গত শনিবার এ তথ্য দিয়েছে।
চলমান বিক্ষোভকে ‘দাঙ্গা’ হিসেবে অভিহিত করছে ইরানের কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভ থামাতে ধরপাকড়সহ দমনপীড়ন চালাচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।