ইসরায়েল সব পশ্চিমা শক্তিকে এক করেছে ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করতে

ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালিসহ সব পশ্চিমা শক্তিকে এক করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের সামনে তাদের মাতৃভূমি রক্ষার জন্য লড়াই করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, হামাসের প্রতিরোধ অভিযান ও ইসরায়েলের আগ্রাসনকে সমপর্যায়ে বিবেচনা করা অনুচিত হবে।

তিনি বলেন, এত বছর ধরে ইসরায়েলিরা গাজাসহ ফিলিস্তিনজুড়ে শিশুসহ বাসিন্দাদের হত্যা করে আসছে। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ফিলিস্তিনিদের বাসভূমি দখল করে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপন করেছে। সবশেষে তারা গাজাকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করেছে। পানি, গ্যাস, বিদ্যুত্—সব কিছু বন্ধ করে দিয়েছে।

 

তারা এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে, গাজাকে তারা জনমানবহীন দ্বীপে পরিণত করবে।রাষ্ট্রদূত ইউসেফ বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালিসহ সব পশ্চিমা শক্তিকে এক করেছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিমানবাহী রণতরি পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের সামনে তার নিজ বাসভূমির জন্য লড়াই করা ছাড়া কোনো পথ নেই।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সব সময় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আছে। তিনি ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারসহ সব মহলের দ্বিধাহীন সমর্থন কামনা করেন।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি এরই মধ্যে এ ব্যাপারে তাদের দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের অন্তর্ভুক্ত গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ফিলিস্তিনের পাশে আছে।

মেনন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা আমাদের দখলকৃত মাতৃভূমি উদ্ধারের লড়াইয়ের সময় সন্ত্রাসী বলে চিহ্নিত হয়েছি।ফিলিস্তিনিদেরও তাদের ভূখণ্ড রক্ষা করতে একইভাবে ‘সন্ত্রাসী’ বলে চিহ্নিত হতে হয়েছে। তিনি বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে দৃঢ় ভূমিকা রাখবে।

 

আলোচনার সময় ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ ও আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান উপস্থিত ছিলেন।