ইসরায়েলকে প্রতিরোধে ফিলিস্তিনিদের রকেট ভাণ্ডার
ছয় দিন আগে সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি আকাশে বিদ্যুতের মতো ছুটে বেড়াচ্ছে হামাসের ছোড়া রকেট। যার অধিকাংশই ইসরায়েলির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম ভূপাতিত করেছে। কিন্তু কিছু কিছু রকেট ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
আল-আকসা প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযানের বিরুদ্ধে গাজা থেকে রকেট হামলা শুরু হয়েছে। ইসরায়েলও বিমান হামলা ও কামানের গোলায় বিধ্বস্ত করে যাচ্ছে উপত্যকাটিতে।
ইসরায়েলে হামলায় বিভিন্ন ধরনের রকেট ব্যবহার করে আসছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
ফিলিস্তিনিদের রকেট গাজা ও পশ্চিমতীরে স্থানীয়ভাবে নির্মাণ করা হয়, সিরিয়া থেকেও আমদানি করা হয়। হামাস ছাড়াও ইসলামিক জিহাদও ইসরায়েলের দখলদারিত্বের প্রতিরোধে রকেট ব্যবহার করে আসছে।
ফিলিস্তিনি বামপন্থী পপুলার রেজিস্ট্যান্স কমিটি ব্যবহার করে আসছে আল-নাসের রকেট। আল-নাসের ৩ ও আল-নাসের-৪ নামের দুধরনের রকেট রয়েছে তাদের।
আর ইসলামিক জিহাদের রকেটের নাম আল-কুদস ১০১ ও আল-কুদস ১০২।
আল-আকসা মার্টায়ার্স ব্রিগেড ও ফাতাহের ব্যবহৃত রকেটের নাম আরাফাত-১ ও আরাফাত-২। তাদের আরেকটি রকেট হচ্ছে আকসা-৩। আল-আকসা মার্টায়ার্স ব্রিগেডের আরেকটি রকেট বাহা। পশ্চিমতীর থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়।
ফাতাহের ব্যবহৃত একটি রকেটের নাম সেনিন। ১৯৯০-এর দশকে উদ্ভাবিত একটি ইরানি রকেট ফজর-৫ ব্যবহার করেন ফিলিস্তিনিরা।
তেলআবিবে হামলায় ব্যবহৃত গাজায় উদ্ভাবিত একটি রকেটের নাম এম-৭৫। স্থানীয় ওয়ার্কশপে এই রকেট উদ্ভাবন করেছে হামাস। ফাতাহের ব্যবহৃত আরও দুটি রকেট হলো জেনিন-১ ও কাফাহ।
সোভিয়েত আমলে উদ্ভাবিত কাতুশিয়া রকেটও ব্যবহার করে আসছেন ফিলিস্তিনিরা। চীনা নকশায় সিরীয় রকেট এম-৩০২ জেরুজালেম ও হাইফায় আঘাত হানতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
গাজা থেকে উদ্ভাবিত হামাসের রকেটের মধ্যে আছে কাসসাম-১ থেকে কাসসাম ৪। এছাড়াও তাদের রকেটের মধ্যে আছে, ইয়াসিন আরপিজি, আল বানা আরপিজি, আল বাতার আরপিজি। ফিলিস্তিনি ফাতাহ আন্দোলনের একটি রকেটের নাম সারিয়া-২।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন