ইসলামী ব্যাংকের একাউন্টে রহস্যময় ২ হাজার কোটি টাকা, অনুসন্ধানে দুদক
ইসলামী ব্যাংকের রহস্যময় ২ হাজার কোটি টাকার তহবিলের জট খুলতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিটের ব্যার্থতার পর, এবার দুদকের দুয়ারে অভিযোগটি। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে দুই হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল আসে। তবে এ অর্থের উৎস কোথায় তা জানা যায় নি।
ব্যাংকটির নিজস্ব ইউনিটেও নেই নির্দিষ্ট কোন তথ্য। এমনকি ঐ অর্থ কোন বিনিয়োগের কি’না তারও কোন তথ্য নেই। যার ফলে ২০১৪ সালে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ২০১৩ সালের তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পরিদর্শক দলের পরিচালিত তদন্তে এ অর্থের লেনদেন ধরা পড়লেও যুক্তিযুক্ত কোন উত্তর দিতে পারেনি ইসলামী ব্যংক।
ব্যংক সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি সামনে আসলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শকরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এবং ইসলামী ব্যাংকের ২০১৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিষয়টি নিশ্চিত হন। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে ইসলামী ব্যাংক যে বক্তব্য দেয় তাতে অসন্তোষ জানায় কমিটি। ওই তহবিলের লেনদেনের বিষয়ে আরও বিশদ তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ থেকে ব্যাংকের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটকে (এফআইইউ) অনুরোধ জানানো হলে তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে সাত বছরেও ইসলামী ব্যংকের এই রহস্যময় তহবীলের বিষয়টির কোন কুলকিনারা হয়নি।
সূত্র জানায়, ইসলামী ব্যাংকের ২০১৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনেও এ বিষয়ে এক ধরনের ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে। সাত বছর পর সে রহস্যময় হাজার কোটি টাকার হিসাবের তথ্য জানতে চেয়ে বাংলাদেশ ব্যংকের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, দু হাজার কোটি টাকার ওই টাকার একটি অংশ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় স্থানান্তর করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। তবে তা কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে গেছে তাও এখনো জানা যায়নি। এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ঐ অর্থের সংযোজন এবং রুপান্তরের যাবতীয় তথ্য চেয়ে বিএফআইইউ’র কাছে চিঠি দিয়েছে দুদক।
এ বিষয়ে একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন চেয়ে সম্প্রতি অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাংলাদেশ ব্যংকে এই চিঠি পাঠান। দুদক সচিব জানান, দুদকের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি অনুসন্ধানের পর দুদকের এখতিয়ারভূক্ত হলে তা যথানিয়মেই অনুসন্ধান হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন