ঈদকে ঘিরে সিরাজগঞ্জের বেলকুচির তাঁতপল্লীতে কর্মচাঞ্চল্যতা বেড়েছে

ঈদকে সামনে রেখে কর্মচাঞ্চল্যতা বেড়েছে সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার তাঁত পল্লীতে। ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় তাঁতিরা। করোনা পরবর্তী বেলকুচি উপজেলার তাঁত মালিকগণ লোকসান কাটিয়ে গুড়ে দাড়াবার আশা করছে এ অঞ্চলের তাঁতশিল্প মালিকরা।

বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতিতে একদিকে ডলারের বিপরীতে টাকার মান নিম্নগামী হওয়ায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও রং-সুতাসহ উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট সকল উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিতে তাঁতশিল্পে উৎপাদন খরচ প্রচুর বেড়েছে। এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে তাঁতশিল্পে ব্যবহৃত উৎপাদনে সকল উপকরণের মূল্য কমিয়ে স্থিতিশীল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় তাঁত মালিকগণ।

প্রত্যক বছরের মতো এ বছরেও তাঁতশিল্পের উৎপাদিত বাহারি রকমের শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রি-পিস তৈরিতে প্রচুর ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় তাঁতিরা। বেলকুচি উপজেলার প্রায় তাঁতপল্লিতে তৈরি হচ্ছে আধুনিক বাহারি রকমের জামদানি, সুতি জামদানি, কাতান, বেনারসি শাড়ি, থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন ধরনের লুঙ্গি। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও নলী ভরা, সুতা পারি করা, মাড় দেওয়াসহ কাপড় বুননের যাবতীয় কাজে সহযোগিতা করছেন। এ অঞ্চলের কাপড় ভালো মানের হওয়ায় তাঁতশিল্পে উৎপাদিত কাপড় দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

তাঁত মালিকগণ বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবছর বাজারে তাঁত পণ্য চাহিদা অনেক বেশি। তবে তাঁতশিল্পে উৎপাদিত উপকরণের বাজার সরকারি নজরদারি এবং পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে তাঁত শিল্পের অস্তিত্ব বিলিয়ন হয়ে যাবে।

স্থানীয় শ্রমিকরা জানান, ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বাড়লেও বিদ্যুৎতের লোড শেডিংয়ের জন্য আমরাদের বাড়তি উপার্জনের রাস্তা চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।

এদিকে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিছুর রহমান জানান, প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও তাঁতশিল্প মালিকদের বিশেষ ঋণ ও সরকারি অনুদান দেয়া হচ্ছে। এছাড়া অবৈধভাবে ভারত থেকে কাপড় আমদানী করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।