ঈদের আগে ও পরে ৭ দিন ফেরিতে সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান পারাপার বন্ধ
আসন্ন ঈদে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ নিরাপদ রাখতে ঈদের পূর্বে ৩ দিন ও ঈদের পরে ৩ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে। রাতের বেলায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে।
এছাড়া, ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সার্বক্ষণিক সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নৌপথে স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ঈদ ব্যবস্থাপনা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জানানো হয় পদ্মাসেতুতে মোটর সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকায় শিমুলিয়া মাঝিরকান্দি রুটে মোটর সাইকেল পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এপ্রিল মাসে আবহাওয়া খারাপ থাকে, কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার শঙ্কা থাকে। সে সময়ে সকলকে আবহাওয়া বার্তা মেনে চলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ঢাকা সদরঘাট এলাকায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার জন্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও নৌপুলিশ আরো সতর্কতার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করবে মর্মে সভায় জানানো হয়। এছাড়া সদরঘাট এলাকায় ছোট ছোট নৌযানে করে লঞ্চে যাত্রী উঠানামায় কঠোর নজরদারি করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সভায় আরো জানানো হয় পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া, আরিচা, কাজিরহাট, হরিনা, আলুবাজার ফেরিরুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মতো উপকূলীয় অঞ্চলে যাত্রি পারাপারে সি-ট্রাক চালু থাকবে। ফিটনেসবিহীন নৌযান যাতে চলাচল করতে না পারে সেজন্য নৌপরিবহন অধিদফতর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রি সাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের লক্ষ্যে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়্যার সেক্টরের কর্মীদের এলাকাভিত্তিক পর্যায়ক্রমে ছুটি প্রদানের জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মোঃ নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (যাত্রি পরিবহন) সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম ভূইয়া, স্বরাষ্ট্র, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, পুলিশ, নৌপুলিশ, আবহাওয়া বিভাগ, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ, সংশ্লিষ্ট সড়ক ও নৌপরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সংগঠন এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সরাসরি ও ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন