উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে হত্যা মামলার বাদীকে হুমকি, প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

ময়মনসিংহের গৌরীপুর সহনাটি ইউনিয়নে একটি হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে গৌরীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে গৌরীপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন হত্যা মামলার বাদী ও নিহতের পিতা আব্দুল কাইয়ুম। তাঁর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হত্যা মামলাটির স্বাক্ষী সহনাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সদস্য ডা. এ বি সিদ্দিক।
জানা যায়, গত জুন মাসে মাত্র ১০ টাকা চা বিলের জন্য ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় উপজেলার সহনাটি ইউনিয়ন ছাত্র দলের যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবিরকে। ঘটনাটি সারাদেশে তখন ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। সেই মামলার তিনজন আসামি মাসুদ রানা, কামরুল ইসলাম ও মজিবুর রহমান সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসেছেন। জামিনে এসে তাঁরা নিহত হুমায়ুনের বাবা আব্দুল কাইয়ুম, মামলার স্বাক্ষী ডা. এ বি সিদ্দিক, সহনাটি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির সাইদুর রহমান এমদাদসহ অনেককে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।
আব্দুল কাইয়ুম অভিযোগ করে বলেন- সন্তান হারিয়ে তিনি এখন চার মামলার আসামি। ঘটনার দিন রাতে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তদের ঘর-বাড়ি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। তিনি তখন নিহত সন্তানের সাথে হাসপাতালের মর্গে, সেই অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করেছে হত্যা মামলার আসামিরা। চারটি মামলারই আসামি তিনি।
এখন উচ্চ আদালত থেকে তিনজন জামিনে এসে সবাইকে হুমকি-দামকি দিচ্ছে। এছাড়াও গত ১০ সেপ্টেম্বর জামিনে আসা আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে গৌরীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
সহনাটি ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর সাইদুর রহমান এমদাদ বলেন- ছুরিকাঘাতে হুমায়ুন আহত হলে তাঁকে নিয়ে আমি দ্রুত গৌরীপুর উপজেলা হাসপাতালে যাই, সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নাতদন্তের জন্য হুমায়ুনের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে হুমায়ুনের লাশ নিয়ে আমি বাড়িতে যাই, অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় আমি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, তবুও আমাকে চারটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। আসামিরা জামিনে এসে নানা ভাবে আমাকে হুমকি দামকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এখন।
এব্যাপারে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোঃ সালাহ উদ্দিন করিম বলেন- বিষয়টি জানা নেই, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন


















