উত্তাল সিলেট: নগরীর চৌহাট্টা ছাত্র-জনতার দখলে
সকাল থেকে ঘুড়ি ঘুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটে, সেই বৃষ্টিকে উপক্ষো করে জড়ো হতে থাকেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা। সাথে যোগ দেন অভিভাবক সাধারণ জনতা, এতে করে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা সময় যথ গড়ায় ততই মানুষে লোকে লোকারন্যে পরিণত হয়।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, শনিবার (৩ আগষ্ট) বেলা ১২ টায় নগরের চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। ধীরে-ধীরে বাড়তে থাকে জমায়েত। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা। একপর্যায়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও এসে যোগ দেন এই জমায়েতে। সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতা সিদ্দিকীও দলবল নিয়ে আন্দোলন কর্মসুচিতে যোগ দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দেয়া হলেও মিছিলের পরিবর্তে সড়কেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। ফলে ব্যস্ততম এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীদের পাশেই সাজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলে। এতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা ‘ভুয়া, ভুয়া’ শ্লোগান তুলে। পুলিশের দিকে তেড়েও যায় কয়েকজন। এক পর্যায়ে পিছু হঠে পুলিশ।
নয়া দফা দাবিতে এই কর্মসুচি দেয়া হলেও (৩ আগষ্ট) শনিবারের কর্মসুচি থেকে মুলত সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিই জানানো হয়। এই দাবিতেই শ্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডেও লেখা ছিলো এই দাবি।
বেলা ৩ তার দিকে শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কর্মসূচী চালিয়ে যান আন্দোলনকারীরা।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে যাতে কোন নাশকতামূলক ঘটনা না ঘটে সে জন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা শান্তিপুর্ণ ভাবে কর্মসুচি পালন করলে পুলিশ তাদের বাধা দিবে না। তবে তারা বিশৃঙ্খলা করলে পুলিশ প্রতিহত করবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন