উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশে ইবিতে ইনোভেশন শোকেসিং
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) স্মার্ট বাংলাদেশের উন্নয়নে উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটাতে প্রথমবারের মতো ‘ইনোভেশন শোকেসিং’ বিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের সেমিনার কক্ষে এই উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়। পরে আইসিটি সেলের সেমিনার কক্ষে এক আলোচনা সভায় এই উদ্ভাবন প্রদর্শনীর ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সভায় ই-গভর্নেন্স ও ইনোভেশন টিমের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা’র সভাপতিতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। এছাড়াও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানসহ বিভিন্ন শিক্ষক ও দলীয় শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-গভর্নেন্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনার আওতাভুক্ত এই কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের মোট ১২টি দল উদ্ভাবিত চিন্তাসমূহ উপস্থাপন করেছে। এতে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৭টি দল, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২টি দল, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ১টি দল এবং অর্থনীতি বিভাগের ১টি দল প্রজেক্ট উপস্থাপন করে।
পরে কর্মশালায় বিজয়ী ৩টি দলকে পুরষ্কৃত করা হয়। এতে এমডিআর ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাকটেরিয়োফেজের কার্যক্ষমতা প্রজেক্টে ১ম হন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসান সুমন। ব্যাচভিত্তিক শিক্ষার্থীদের তথ্য হালনাগাদ প্রজেক্টে ২য় হন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আবু সাঈদ ও সাগর আহমেদ এবং দেশীয় অপ্রচলিত ফল থেকে পুষ্টিগুণসম্পন্ন সুস্বাদু এবং সাশ্রয়ী খাবার তৈরি প্রসঙ্গে ৩য় হন ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের রুবাইয়া তাসনিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক কার্যক্রমের সাথে এই কর্মশালার ফলাফল ইউজিসির কাছে হস্তান্তর করবে প্রশাসন। এতে নগদ ১০ হাজার টাকা পুরষ্কার ও অংশগ্রহণকারীদের স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য ড অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বে সৃষ্টিমূলক কাজ করছে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এধরনের কাজ শিক্ষার্থীরা করতে না পারার কারণ আমাদের সিস্টেমের ব্যর্থতা। এটা শিক্ষার্থীদের ব্যর্থতা নয়, বরং তারা মেধাবী এবং উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তির অধিকারী। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অনেক অভিনন্দন। আগামীতে এরূপ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এর বিকাশ হবে।
পরিদর্শন শেষে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড সাইফুল ইসলাম বলেন, উদ্ভাবন হচ্ছে বর্তমানে যে জিনিসের কোনও অস্তিত্ব নেই তা খুঁজে বের করা। সৃষ্টিশীলতা একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীল ও নতুনত্ব নিয়ে আসতে বলব যা আজকের পৃথিবীর জন্য প্রয়োজন। তখন তা ভালো উদ্ভাবন হতে পারবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন