উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হবে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, ‘আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ সাতক্ষীরা ও খুলনা উপকূলে টেকসই বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা হাতে নিয়ে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
আগামী ১-২ সপ্তাহের মধ্যে তা একনেকে পাশ হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এবার এমন বাঁধ নির্মান করা হবে যাতে ভবিষ্যতে তা ভেঙ্গেচুরে মানুষের দুর্দশা ডেকে না আনে’।

প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরার নেবুবুনিয়া, আশাশুনির চাকলা ও কুড়ি কাহনিয়া এবং কয়রার বেতকাশি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমপানের কারনে এসব এলাকার বেড়িবাঁধ ধ্বসে মানুষের দুর্দশা ডেকে এনেছে। এখন পর্যন্ত যে বাঁধগুলো পুননির্মান করা হয়েছে তা অস্থায়ী উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মানের সব পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে ১২টি ভাঙন পয়েন্ট নির্মানের জন্য সেনাবাহিনীর কাছে ৭৫ কোটি টাকাও দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি জানান, করোনার কারনে বাঁধ নির্মান কাজ অনেকটা স্তিমিত হয়ে যায়। তবে এবার নতুন কাজে গতি ফিরে পাবে।

ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রীর সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ রোকনুদ্দৌলা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মোঃ মিজানুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল্লাহ, কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের।

প্রতিমন্ত্রী এসময় জনগনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ভয় পাবেন না, আপনারা করোনা টীকা গ্রহন করুন।’