উপকূল বন্ধু এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুকেই চায় কয়রা-পাইকগাছাবাসী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসনে আবারও বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবুর ওপর ভরসা রাখছেন দুই উপজেলার (কয়রা-পাইকগাছা) আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত পাইকগাছা উপজেলার আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবল মন্টু বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তবে বর্তমান এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুর ওপরই আমাদের ভরসা। তার কোনো বিকল্প নেই। তৃণমূল নেতাকর্মীর সমর্থনে আমরা চূড়ান্ত করেছি বর্তমান সংসদ সদস্যই এখানে দলের একক প্রার্থী হলে বিজয় সহজ হবে। তার জনপ্রিয়তার কাছে অন্যরা অনেক দূরে।
সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু ১৯৬৮ সালের ১১ই আগস্ট খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন৷ মহান মুক্তিযুদ্ধে আক্তারুজ্জামান বাবুর পিতা এবং চাচাসহ পরিবারের সাতজন সদস্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই ওতপ্রোতভাবে রাজনীতির সাথে জড়িত। দায়িত্ব পালন করেছেন খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকসহ একাধিক সামাজিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে। বর্তমানে তিনি খুলনা জেলা আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
কয়রা উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মাস্টার খগেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, পাইকগাছা উপজেলায় আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান থাকলেও বরাবরই কয়রা উপজেলা জামায়াতের শক্ত ঘাটি হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে গত ইউপি নির্বাচনে জামায়াতের প্রভাব উপেক্ষা করে দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩টিতে নৌকার জয় নিশ্চিত হয়েছে অনেকটা বর্তমান এমপির একক প্রচেষ্টায়। বাকি ৪ টিও আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত৷ এছাড়া তার দৃঢ় মনোবলের কারণে কয়রাকে নোনাপানি মুক্ত করতে গিয়ে বিরোধী দলের লোক দ্বারা অপদস্থ হলেও মাঠ ছাড়েনি তিনি। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে তৃণমূল থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত ছুটে বেড়িয়েছেন এবং দৃশ্যমান হচ্ছে টেকসই বেড়িবাঁধ। এই আসনে আ’লীগের শক্ত অবস্থান ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু বিকল্প নেই।
ইতোমধ্যে এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুকে পুনরায় নৌকার মাঝি মনোনয়নসহ কয়রা-পাইকগাছার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে অফলাইনে ও অনলাইনে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। তাদের দাবি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক চ্যালেঞ্জিং। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হলে— এ আসনে আক্তারুজ্জামান বাবুর কোন বিকল্প নেই। বিগত সময়ে তিনি করোনায় সহযোগিতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিশ্চিহ্ন বেঁড়িবাধ নির্মাণ, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন সহ নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ণমূলক কাজ করেছেন। যা জনগণের কাছে স্বপ্ন নয় দৃশ্যমান। সকলের কাছে রয়েছে তার গ্রহণযোগ্যতা ও ক্লিন ইমেজ। গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ের মাধ্যমে ভোটের মাঠে গড়ে তুলেছেন শক্ত অবস্থান।
তৃণমূলের নেতারা জানান, ২০২৪ সালের দ্বাদশ নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জিং। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রার্থী বাছাইয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। যাদের সর্বমহলে যাদের গ্রহণ যোগ্যতা নেই, স্থানীয় নির্বাচনে নৌকার বিরোধী ছিল, যারা ছাত্র রাজনীতিতে ছিলোনা এমন প্রার্থীকে কয়রা-পাইকগাছায় মনোনয়ন দিলে তা হবে আত্মঘাতী ।আক্তারুজ্জামান বাবুর ওপরই ভরসা রেখে তৃণমূল আ.লীগের নেতা কর্মীরা আরও বলেন, ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে আসা কয়রা-পাইকগাছায় অসমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ দ্রুত সমাপ্ত সহ উপজেলা দুটিকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে ও নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আক্তারুজ্জামান বাবুর ওপর ভরসা রেখে তাকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানান তৃণমূলের নেতা কর্মীরা।
টানা ৬ বারের রাড়ুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, অবিভক্ত পাইকগাছার সাবেক আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, তৃণমূল থেকে উঠে এসে এমপি নির্বাচিত হয়ে আক্তারুজ্জামান বাবু আমাদের মত এতো প্রবীণ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ পিতার সম্মানের আসনে বসিয়েছেন। তিনি আমাদের মত মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ নেতাদের উজ্জীবিত করে তৃণমূল আ’লীগকে সুসংগঠিত করছেন এবং আমাদের সকলের সহযোগিতায় এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন আমরাসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এমপি বাবুর উপর আস্থা খুঁজে পেয়েছেন।
কয়রা উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফরুল ইসলাম পাড় বলেন, অভূতপূর্ব উন্নয়নের পাশাপাশি খুলনা-৬ আসনের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুকে যেকোনো সময় কাছে পায়। আমরা তৃণমূলের সব বিষয়ে এমপি বাবুর কাছে যেতে পারি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- তৃণমূল যার, নৌকা তার। খুলনা-৬ আসনের তৃণমূল আক্তারুজ্জামান বাবুর। তাই আমরা নেত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ জানাই, আগামী নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনের নৌকার মনোনয়ন যেন আবারও আক্তারুজ্জামান বাবুকে দেওয়ার দাবি জানান৷
পাইকগাছা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন বুলু এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুর আলমে নানা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন,নেতা কর্মীদের সাহায্য সহযোগিতা, আওয়ামীলীগ অফিসসহ সার্বিক উন্নয়ন এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু’র হাতেই হয়েছে।আমাদের বিশ্বাস, এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু সর্বমহলের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও ক্লিন ইমেজের কারণে জামায়াত-বিএনপি প্রভাবিত কয়রা-পাইকগাছায় এমপি বাবুকে মনোনয়ন দিলে আবারও এ আসনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করবে আওয়ামী লীগ।
বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ গাজি বলেন, তৃণমূল থেকে উঠে আসা এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু হচ্ছেন মাটি ও মানুষের নেতা। একদম তৃণমূল থেকে কীভাবে দলকে সুসংগঠিত রাখতে হয়, কীভাবে তৃণমূলের একজন নেতা-কর্মীর মন জয় করা যায়? এসব গুণাবলি তার মধ্যে বিদ্যমান। এলাকাবাসী তাদের নেতা হিসেবে ঘুরেফিরে তাকেই সবসময় কাছে পায়। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর যে উন্নয়ন হয়েছে স্বাধীনতার পর কোন এমপিই তার মত উন্নয়ন করেনি। তাই তার প্রতি এলাকার সাধারণ জনগণের বড় রকমের একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। এ আস্থা থেকেই এলাকাবাসী তাকে পুনরায় এমপি হিসেবে পেতে চায়।
কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম বাহারুল ইসলাম বলেন, আক্তারুজ্জামান বাবু ভাইয়ের নেতৃত্বে তৃণমূল আ’লীগ শক্তিশালী হচ্ছে। তরুণ এই রাজনৈতিক নেতা দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই রাজনীতি ও সাধারণ মানুষের পেছনে ব্যয় করেন। স্থানীয় জনগণ তাকে সব সময়েই কাছে পায়। তাই ২ বা ১ জন স্বার্থান্বেষী নেতা ছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীগণ এমন একজন কর্মীবান্ধব নেতাকেই পুনরায় এমপি হিসেবে পেতে চায়। তিনি আরো বলেন, একজন যোগ্য নেতা হিসেবে জনগণের সাথে রয়েছে তার যথেষ্ট সম্পৃক্ততা। কয়রা-পাইকগাছায় রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এলাকাবাসী যেকোনো ধরনের চাহিদার সময় এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুকে কাছে পায়।
মহারাজপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার খয়রুল আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেড় হাজার অসুস্থ নেতা কর্মীর জন্য সাহায্য এনে এলাকায় সাড়া ফেলাসহ এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু দলীয় কর্মকাণ্ড জোরদার এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের বার্তা সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রায় সময়ই গাড়ি অথবা মোটর সাইকেল চালিয়ে একা একা এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে জান। এসময় তিনি প্রান্তিক মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনেন এবং সমাধানের ব্যবস্থা করেন করেন এমপি বাবু। এতে মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন তিনি।
এখানকার তৃণমূল পর্যায়ের মানুষও খুশি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও মাঠে এখন এই একটাই নাম আক্তারুজ্জামান বাবু।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন