উ. কোরিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠানো মার্কিন ছাত্রের মৃত্যু
উত্তর কোরিয়ায় ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে বন্দি থাকার পর দেশে ফেরত পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই এক মার্কিন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ওত্তো ওয়ার্মবিয়ার (২২) নামের উত্তর কোরিয়ার একটি হোটেল থেকে একটি প্রজ্ঞাপন চুরির অপরাধে তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিলো। খবর বিবিসির।
উত্তর কোরিয়ায় আটক থাকার সময় প্রায় এক বছরই তিনি কোমায় ছিলেন। গত মঙ্গলবার সেই অবস্থাতেই তাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হয়।
এরপর সিনসিনাটির একটি হাসপাতালে নেয়া হলে এক সপ্তাহের মধ্যেই মারা যান তিনি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়াতে নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি মারা গেছেন।
ওই ছাত্রের বাবা এর আগে বলেছিলেন, ‘তাকে আটক করে যা করা হয়েছে সেই ভয়াবহ ব্যাপার মেনে নেয়া কঠিন।’
বন্ধুদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ায় অবকাশ যাপনে গিয়েছিলেন তিনি। গত এক বছর তিনি যে কোমায় ছিলেন সে বিষয়টি তার পরিবারের কাছে গোপন রাখা হয়েছিলো।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বচিউলিজম নামের এক অসুখে তার এই অবস্থা হয়েছে। কিন্তু তিনি এই রোগে কিভাবে আক্রান্ত হলেন সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে দেশে ফেরার পর চিকিৎসকদের একটি প্যানেল তাকে পরীক্ষার পর মস্তিষ্কে আঘাতের কথা উল্লেখ করেন।
মার্কিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে একটি নিষ্ঠুর রাষ্ট্র বলে উল্লেখ করেছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন