‘এএসপি আনিসুলের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত নয়, হত্যাকাণ্ড’ ।। দাফন সম্পন্ন
রাজধানীর মানসিক হাসপাতালে কর্মচারীদের মারধরে এএসপি আনিসুল করিমের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছে তেজগাঁও জোনের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর শ্যামলীতে তেজগাঁও জোনের উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় হাসপাতালের যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সরকারি হাসপাতালের কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, মাইন্ড এইড নামের ওই বেসরকারি হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হবে।
গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে হাসপাতাল কর্মীদের মারধরে মৃত্যু হয় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুল করিমের।
হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট কক্ষের ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায়, হাসপাতালে ৬-৭ কর্মী টেনেহিঁচড়ে ওই কক্ষের মধ্যে নিয়ে আসে আনিসুলকে। সেখানে তাকে কয়েকজন চেপে ধরে রাখতে দেখা যায়। একই সঙ্গে কয়েকজনকে তাকে কনুই দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকলেও আনিসুলের চিকিৎসার ব্যাপারে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেননি। পরে তাকে শ্যামলী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
দাফন সম্পন্ন
চিকিৎসা নিতে গিয়ে ঢাকায় হাসপাতাল কর্মীদের মারধরে নিহত হওয়া বরিশালের সহকারী সুপার মো. আনিসুল করিমের দাফন হয়েছে গাজীপুর সিটি কেন্দ্রীয় গোরস্থানে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হয় তাকে। এর আগে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বজনরা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তাকে।
এতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আজাদ মিয়া, কাপাসিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খানসহ পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতারা ও সর্বস্তরের জনগণ অংশ নেন।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সোমবার (৯ নভেম্বর) মানসিক চিকিৎসার জন্য ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে রাজধানীর মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই হাসপাতালে ভর্তির পরপর সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন আনিসুল করিম। ৩১তম বিসিএস ক্যাডারে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। সর্বশেষ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। স্ত্রীসহ ৩ বছর বয়সের এক ছেলেসন্তানের জনক ছিলেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন