একদিনে তিন সাবেক এমপি আটক
পতিত আওয়ামীলীগের সাবেক ৩ এমপিকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সাবেক এমপি সালাম মুর্শেদী গ্রেপ্তার
খুলনা-৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুস সালাম মুর্শিদীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ২০২২ সালে খুলনার ফুলতলা এলাকায় হামলা, আক্রমণ ও হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শিদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সালাম মুশের্দী বাংলাদেশ দলেল সাবেক ফুটবলার ছিলেন। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন।
সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী গ্রেপ্তার
নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের খুলশি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস।
একরামুল করিম চৌধুরী ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের টিকিট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান একরামুল।
একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী কামরুন নাহার শিউলী নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার ছেলে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী কিছুদিন আগে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়া তার ভাতিজা জহিরুল হক রায়হান কবিরহাট পৌরসভার মেয়র।
কুষ্টিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। প্রায় পাঁচ বছর আগের এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস।
৫ বছর আগে বিএনপির কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত রবিবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সুজনের রাজনৈতিক বড়ভাই সুজন হোসেন। এ মামলায় আব্দুর রউফসহ মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী সুজন হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আমার দলীয় ছোট ভাই বিএনপির সহযোদ্ধা সুজন মালিথা নিয়মিত বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকে নেতাকর্মীদের উৎসাহ প্রদান করতো। যার কারণে আসামিদের কাছে সুজন মালিথা শত্রু হিসেবে পরিণত হয়। আসামিরা আমার দলীয় ছোট ভাইকে হত্যার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। সুজন মালিথা বিএনপির প্রোগ্রাম শেষ করে রাতে নিজ বাড়িতে প্রবেশ করলে ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটে আসামিরা সকলে মিলে তার বাসায় প্রবেশ করে এবং তাকে জোরপূর্বক তার বাসা থেকে তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমিসহ সুজন মালিথার পরিবারের লোকজন তাকে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে এলকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পারি যে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উল্লেখিত আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে সুজন মালিথাকে বাসা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ৩০ মিনিটে কুষ্টিয়া মডেল থানাধীন মোল্লাতেঘরিয়া পূর্ব ক্যানালের পাড়ে গুলি করে হত্যা করেছে।
অতপর আমিসহ সুজন মালিথার পরিবারের লোকজন আসামিদের কাছে উপস্থিত হয়ে সুজন মালিথাকে হত্যার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা কোনো সদুত্তর না দিয়ে আমাদের তাড়িয়ে দেয়।
পরবর্তীতে একাধিকবার উক্ত ঘটনার বিষয়ে মামলা করার চেষ্টা করলে আসামিরা আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়। ঘটনার বিষয়ে এলাকার অনেকেই অবগত আছেন। এমতাবস্থায় ঘটনার বিষয়ে সুজন মালিথার পরিবারসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে থানায় এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন