এক নজরে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক শক্তি
আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোরীয় দ্বীপ। আন্তর্জাতিক মহলে আতঙ্ক ছড়িয়ে ধারাবাহিকভাবে শক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত উত্তর কোরিয়া।
একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও হুমকি-ধমকিতে কোরীয় দ্বীপ যুদ্ধের আবহ তৈরি করেছে।
এর আগে, ১৯৫০ সালে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়েছিল দুই কোরিয়ার মধ্যে। শেষ হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। সে সময় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল উভয় কোরিয়ার। ইতিহাস বলে, বড় যুদ্ধের পর প্রতিপক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয় এটাই নিয়ম। কিন্তু দুই কোরিয়ার যুদ্ধে পর অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদের মধ্যে কোনো শান্তি চুক্তি হয়নি। এর ফলে দুই দেশের সীমান্তে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। উত্তর কোরিয়ার মিলিটারি বর্তমান বিশ্বে খুবই শক্তিশালী হলেও পিছিয়ে নেই দক্ষিণ কোরিয়াও।
উত্তর কোরিয়ার মতো পারমাণবিক শক্তি না থাকলেও সামরিক শক্তিতে বিশ্বের অন্যতম পরাক্রমশালী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া।
রিপাবলিক অব কোরিয়া আর্মড ফোর্স তাদের দেশের আর্মির অস্ত্রগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পূর্ণ অস্ত্রভাণ্ডার রপ্তানি করে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। বিশ্বের অন্যতম এই পরাশক্তির সক্রিয় সেনা রয়েছে ছয় লাখ ৯০ হাজার। আকাশপথ, জলপথ এবং স্থলপথে সুসজ্জিত দক্ষিণ কোরিয়ান সেনাবাহিনী বিশ্বের সেরা বাহিনীর তালিকায় ১১তম।
দক্ষিণ কোরীয় মানবসম্পদ
দক্ষিণ কোরিয়া মিলিটারি শক্তিতে ২০১৭ সালে ১১ নম্বর র্যাঙ্কিংয়ে আছে। বর্তমানে দেশটির মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৯ লাখ ২৪ হাজার ১৭২ জন। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা ২ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার। মূল কথা, দেশটির পুরো মানবসম্পদই মিলিটারির শক্তি হিসেবে কাজ করে। দেশের প্রতিরক্ষার প্রয়োজনে তাদের গড়ে তোলাই প্রশাসনের মূল লক্ষ্য। প্রতি বছর দক্ষিণ কোরিয়ার মিলিটারিতে যোগদান করে ৬ লাখ ৯০ হাজার। দেশটিতে প্রথম শ্রেণির কর্মী আছেন ৬ লাখ ২৫ হাজার। এ ছাড়াও সক্রিয় রিজার্ভ কর্মী আছেন ২৯ লাখ।
সামরিক শক্তি
সামরিক শক্তিতে দক্ষিণ কোরিয়া দারুণ সমৃদ্ধ। স্থলশক্তির মধ্যে অস্ত্রের ভাণ্ডারে রয়েছে মেইন ব্যাটেল ট্যাংকস। আছে দুই হাজার ৬৫৪টিসহ হালকা ট্যাংক এবং ট্যাংক ধ্বংসকারী সহায়ক যন্ত্র। এ ছাড়াও যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য সাঁজোয়া যান আছে দুই হাজার ৬৬০টি। বন্দুক আছে প্রায় দুই হাজার। টোওড আর্টিলারি ৫ হাজার ৩৭৪টি। এ ছাড়া মাল্টিপল রকেট লাঞ্চার সিস্টেম রয়েছে ২১৪টি।
বিমান শক্তিতেও দেশটি পিছিয়ে নেই দক্ষিণ কোরিয়া। মোট যুদ্ধবিমান ৪০৬টি। ফিক্সড উইং অ্যাটাক বিমান ৪৪৮টি, ট্রান্সপোর্ট বিমান ৩৪৮টি, প্রশিক্ষণ বিমান ২৭৩টি, হেলিকপ্টার ৭০৯টি, অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৮১টি। দেশটি নৌশক্তিতেও এগিয়ে। মোট নৌশক্তি আছে ১৬৬টি।
দক্ষিণ কোরিয়া
রিজার্ভ সৈন্য: ২ কোটি ৯০ লাখ
সক্রিয় সৈন্য: ৬ লাখ ২৫ হাজার
মেইন ব্যাটেল ট্যাংক: ২,৬৫৪টি
সাঁজোয়া যান: ২,৬৬০টি
সেলফ প্রোপেলড গান: ১৯৯০টি
টোওড আর্টিলারি: ৫,৩৭৪টি
মাল্টিপল রকেট লাঞ্চার সিস্টেম ২১৪টি
সার্ভিস ক্যাপাবেল এয়ারপোর্ট- ১১১টি
যুদ্ধবিমান: ৪০৬টি
ফিক্সড উইং অ্যাটাক বিমান: ৪৪৮টি
ট্রান্সপোর্ট বিমান: ৩৪৮টি
প্রশিক্ষণ বিমান: ২৭৩টি
হেলিকপ্টার: ৭০৯টি
অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৮১টি
নৌশক্তি: ১৬৬টি
বিমান বহনকারী নৌযান: ১টি
ফাইটার নৌযান: ১৩টি
বিধ্বংসী নৌযান: ১২টি
সাবমেরিন: ১৫টি
কোস্টাল ডিফেন্স ক্রাফট ৭০টি
মাইন ওয়ারফেজ: ১১টি
মেজর পোর্ট টার্মিনাল: ৮টি
রেলওয়ে কাভারেজ: ১০৩০২৯টি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন