এক লরি গোলাপ পাঠিয়েও শ্রীদেবীকে রাজি করাতে পারেননি অমিতাভ
সম্প্রতি শ্রীদেবীর জীবনীগ্রন্থে নতুন একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। অমিতাভ নাকি শ্রীদেবীকে এক বার গোলাপ পাঠিয়েছিলেন। একটা নয়, একটি ট্রাক ভর্তি গোলাপ! কিন্তু কেন? নেপথ্যে রয়েছে এক বিশেষ কারণ।
১৯৯২ সালে মুক্তি পায় অমিতাভ-শ্রীদেবী জুটির ছবি ‘খুদা গওয়াহ’। এই ছবিতে নাকি শুরুতে অভিনয় করতে রাজি ছিলেন না শ্রীদেবী। কিন্তু অমিতাভ নাছোড়বান্দা। অভিনেত্রীকে রাজি করাতে তিনি নাকি এক লরি গোলাপ পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও তিনি রাজি হননি। উল্টো অমিতাভকে অন্য শর্ত দিয়েছিলেন শ্রীদেবী। পুরো বিষয়টি খোলাসা করেছেন প্রয়াত নৃত্য প্রশিক্ষক সরোজ খান।
শ্রীদেবী জানান, তিনি এই ছবিতে অভিনয় করবেন। কিন্তু তাকে মা ও মেয়ে এই দ্বৈত চরিত্রেই অভিনয় করতে দিতে হবে। শেষে অমিতাভ ও ছবির পরিচালক মুকুল এস আনন্দ রাজি হন। কারণ, তারা বুঝতে পেরেছিলেন ছবিতে শ্রীদেবীর উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তার ফলাফলও বক্স অফিসে পাওয়া গিয়েছিল। সেই বছর বক্স অফিসের অন্যতম সফল ছবি হিসেবে উঠে আসে ‘খুদা গওয়াহ্’র নাম।
সরোজ জানান, পরিচালক রমেশ সিপ্পি এই জুটিকে মাথায় রেখে ‘রাম কি সীতা শ্যাম কি গীতা’ ছবিতে ভেবেছিলেন। ছবিতে দু’জনের দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল। ছবিতে জনপ্রিয় ‘ঝুমা চুম্মা’ গানটিকেও রাখার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ছবিটি আর বাস্তবায়িত হয়নি।
পরে ১৯৯১ সালে অমিতাভ এবং কিমি কাতকার অভিনীত ‘হম’ ছবিতে গানটিকে ব্যবহার করেন পরিচালক মুকুল এস আনন্দ। অমিতাভ এবং শ্রীদেবী জুটিকে দর্শক ‘ইনকিলাব’ ও ‘আখরি রাস্তা’ ছবিতে দেখেছেন। শ্রীদেবী অভিনীত ‘ইংলিশ ভিংলিশ’ ছবিতে অমিতাভের ক্যামিয়ো ছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন