এবার রাখাইনে মুসলিমদের ওপর হেলিকপ্টার হামলা, নিহত ৫
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক হেলিকপ্টার দিয়ে চালানো হামলায় পাঁচ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ১৩ জন। বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে গ্রামবাসী ও এক আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো তথ্য জানানো হয় নি। তবে মেজর জেনারেল তুন তুন নেই জানিয়েছেন, এ ঘটনা সম্পর্কে সেনাবাহিনী যথা সময়ে ‘প্রকৃত সংবাদ’ প্রকাশ করতে পারে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পশ্চিমাংশ বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করে। ওই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে প্রায় সাত লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘ এ ঘটনার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করে বলেছে ‘গণহত্যার উদ্দেশে’ মুসলিম সংখ্যালঘুর ওপর হামলা চালানো হয়েছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বুথিডাউং শহরের একটি উপত্যকায়। ওই গ্রামের কাছেই রোহিঙ্গা মুসলিম পরিবারগুলোর বাস।
কিন তাউং গ্রামের এক সমাজ নেতা জাও কির আহমেদ বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) বিকেল ৪টার দিকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার হামলায় পাঁচ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে আমাদের গ্রামের এক বাসিন্দা রয়েছে। গ্রামের লোকজন বাইরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না এবং তার ভীত-সন্ত্রস্ত্র।’
মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) প্রতিনিধি স্টেফান সাকালাইন জানিয়েছেন, তাদের সংস্থার কয়েকটি টিম বুথিডাউং হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে ১৩ আহতকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন প্রয়োজন।
টেলিফোনে রয়টার্সকে রশিদ আহমেদ নামে এক শ্রমিক বলেছেন, তার বড় ভাই, চাচা ও ভাতিজা সাই দিন উপত্যকায় কাজ করার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা যখন বাঁশ কাটা ও সংগ্রহের কাজ করছিল তখন একটি হেলিকপ্টার তাদের ওপর হামলা চালায়।’
মাং কিয়াও জ্যান নামে এক আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, কয়েকজন আহতকে বুথিডাউং শহরে আনা হয়েছে। তবে হাসপাতালে আনার আগেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আহতরা আমাকে জানিয়েছে গুলিগুলো আকাশ থেকে এসেছে, ভূমিতে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন