এবার সৌদিতে হামলার হুমকি আইএসের

ইরানের পর এবার সৌদি আরবে হামলা হুমকি দিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ এ তথ্য দিয়েছে। খবর রয়টার্সের। গত ৭ জুন ইরানের সংসদ ভবন ও ইমাম খোমেনীর মাজারে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়। পরে এর দায় স্বীকার করে শিয়া অধ্যুষিত দেশটিতে আরো হামলা চালানোর হুমকি দেয় কট্টরবাদী সুন্নি সংগঠন আইএস।

তেহরানে হামলার পর একটি রেকর্ডেড ভিডিও সামনে এসেছে। সেখানে মুখোশ পরা ৫ যোদ্ধা ইরানে আরো হামলার কথা বলতে থাকেন। একইসঙ্গে তারা সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমাদের সময়ও এসে গেছে।’

ভিডিওতে এক মুখোশধারীকে বলতে শোনা যায়, ‘আল্লাহর অনুমতি নিয়ে এই যোদ্ধা দল প্রথম ইরানে জিহাদ শুরু করেছে। মুসলিম ভাইদের আমাদের অনুসরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আল্লাহর ইচ্ছাতে যে আগুন জ্বলা শুরু হয়েছে, তা সহজে থামবে না।’

এই ভিডিও’র শেষ দিকে সৌদি আরবের সরকারের উদ্দেশ্যে হামলার হুমকি দেয়া হয়, ‘ইরান থেকে শিক্ষা নিন, আপনাদেরও (সৌদি আরব) সময় এসে গেছে। আল্লাহর দোহাই, আমরা আপনাদের নিজ ঘরেই রুখে দেব। আমরা আল্লাহ ও তার রাসুল ছাড়া কারো এজেন্ট নই। আমরা ইরান কিংবা আরবীয়দের জন্য নয়, একমাত্র ইসলামের জন্য যুদ্ধ করছি।’

সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তীর্ণ এলাকার দখল নিয়ে আইএস খেলাফত ঘোষণা করেছে। জঙ্গিগোষ্ঠীটি মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হামলা করে আসছে।

গত ৭ জুন সংসদ ভবনে হামলার পর ইরান অভিযোগের তীর দাগেন সুন্নিপন্থী সৌদি আরবের দিকে। যদিও সৌদি আরব তা অস্বীকার করেছে।

সন্ত্রাসবাদে মদদ এবং অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে সম্প্রতি সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপ প্রতিবেশী কাতারের সঙ্গে তাদের সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তাদের এই তালিকায় সর্বশেষ নাম লিখিয়েছে জর্ডান।

তবে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, নিজেদের পররাষ্ট্রনীতি বাদ দিয়ে কাতার অন্যদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করবে না।

মূলত মধ্যপ্রাচ্যে চলমান এই উত্তেজনার মধ্যে ইরানে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর শুক্রবার সৌদি আরবের মার্কিন দূতাবাস তাদের নাগরকিদের দেশটিতে চলাফেরার ওপর নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে।