এশিয়ার বৃহৎ ঝিনুকের আদলে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের রেলস্টেশন
কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি তৈরি হচ্ছে দেশের বৃহৎ ও দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। অনেকটা ঝিনুকের আদলে হবে স্টেশনটি। এটিকে বলা হচ্ছে, এশিয়ার বৃহৎ রেলস্টেশনের একটি। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ভবনটির মূল কাঠামোর নির্মাণকাজ। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রেল চলাচলের লক্ষ্য সংশ্লিষ্টদের।
শুভ্র সাদা বিশাল আকৃতির এক ঝিনুক। এর ভেতরে আসা যাওয়া করছে ট্রেন। এমন দৃশ্য বাস্তব হতে চলেছে সৈকত শহর কক্সবাজারে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশন এটি।
আইকনিক স্টেশনের সামনে থাকবে ঝিনুক আকৃতির দৃষ্টিনন্দন একটি ফোয়ারা। তার চারপাশে পড়ছে স্বচ্ছ জলরাশি। আর শব্দ করে আসছে ট্রেন। যাত্রীরা ঝিনুক ফোয়ারা দিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করছেন। তারপর চলন্ত সিঁড়ির মাধ্যমে তারা সেতু হয়ে উঠছেন ট্রেনে। আবার ট্রেন থেকে নেমে অন্য পথে বেরিয়ে যাত্রীরা পা বাড়াচ্ছেন সৈকত শহরে। এ জন্য থাকছে গমন ও বহির্গমনের দুটি সড়ক। থাকছে গাড়ি পার্কিংয়ের তিনটি বড় জায়গাও।
রয়েছে ৮০ ফুট লম্বা দীর্ঘ সেতু। এর সঙ্গে যুক্ত পৃথক তিনটি চলন্ত সিঁড়ি। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। একই সঙ্গে রয়েছে তিনটি প্ল্যাটফর্ম।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নির্মাণাধীন এ আইকনিক স্টেশন ভবনের নিচতলায় থাকছে টিকিট কাউন্টার, স্বাগত জানানো কক্ষ, লকার, তথ্যকেন্দ্র, মসজিদ, শিশুদের বিনোদনের জায়গা, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ ও যাত্রীদের সেতুতে যাতায়াতের পথ। আর দ্বিতীয় তলায় শপিংমল, শিশু যত্ন কেন্দ্র, রেস্তোরাঁসহ নানা জিনিস। তৃতীয় তলায় ৩৯ কক্ষের তারকা মানের হোটেল, চতুর্থ তলায় রেস্তোরাঁ, কনফারেন্স হল ও কর্মকর্তাদের কার্যালয়।
রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজারে এসে পর্যটকরা লাগেজ, মালামাল স্টেশনে রাখতে পারবেন। সারাদিন সমুদ্র সৈকত বা পর্যটন স্পট ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরতে পারবেন গন্তব্যে।
আইকনিক রেলস্টেশনটি ২৯ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠছে। ৬ তলা স্টেশন ভবনটি তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন