এসএসসি-এইচএসসির সময় নির্ধারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে। তার বলছেন, এর মাধ্যমে পরীক্ষা অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তা অনেকটা কেটে গেলো। পরীক্ষা চার মাস পেছালেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শিক্ষাবিদরা। করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাকি সময়টাকে কাজে লাগানোর পরামর্শ তাদের।
গত কয়েকবছর ধরে এসএসসি ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হতো। সময়মত দুরের কথা, করোনা মহামারীর কারণে প্রায় অনিশ্চিতই হয়ে পড়ছিল ২০২১ সালের শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে বড় এই দুটি পরীক্ষা। দেশের ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার আগেভাগেই জানিয়ে দিলো আগামী বছরের পরীক্ষার সম্ভাব্য সময়।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, এতে করে অনিশ্চয়তার অবসান ঘটলো।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শাহ আলম বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা কিন্তু স্কুলে যেতে পারছে না করোনার জন্য। বাড়িতে বসে আছে। কি পড়বে, কি পড়বে না সেটা নিয়েও একটা উৎকণ্ঠা কাজ করছিলো। এরকম একটা ঘোষণার ফলে তারা নতুন করে বইমুখী হবে।
তবে পরীক্ষা দুটি চার মাস করে পিছিয়ে যাওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক প্রচেষ্টার দিকেও তাগিদ দিয়েছেন তারা।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মো. হায়াতুল্লাহ আকঞ্জি বলেন, দুচার মাসের যে ক্ষতি সেটা পুষিয়ে নেয়া যায়। আমার সুপারিশ থাকবে যে, আমরা ইনটেনসিভ কিছু ক্লাস নেবো।
এদিকে, পরীক্ষার সময়সীমা নির্ধারিত হওয়াতে স্বস্তি ফিরলো শিক্ষার্থীদের মাঝেও। তারা বলছেন, প্রস্তুতি নিতে তাদের সুবিধা হবে।
রফিকুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, যখনই পরীক্ষা হবে পরীক্ষা দেবো। কিন্তু আর যেনো পরীক্ষা না পেছায়। পরীক্ষা শুরুর আগে যেনো কয়েকদিন ক্লাস হয়।
আরেকজন বলেন, জুনে পরীক্ষা হলে আমরা পড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবো।
অপর একজন বলেন, পরীক্ষার নেয়ার সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। কারণ, আমার মনে হয়, অটোপাশের চেয়ে পরীক্ষা হওয়াটা আমাদের জন্য উপকারী হবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সালের এসএসসি জুনে এবং জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন