ওদের কাছে সবাই রাজাকার : কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর-উত্তম বলেছেন, আমি নেতা হওয়ার জন্য যুদ্ধ করি নাই। আজকে যে সংগ্রাম করি এমপি বা মন্ত্রী হওয়ার জন্য করি না।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান আমাকে বারবার মন্ত্রী বানাতে চেয়েছিলেন। সে প্রস্তাবও গ্রহণ করিনি। এরশাদ এসেছিলেন কতবার! মন্ত্রী বানানোর চেষ্টা করেছিলেন। আমি হয়নি।

বৃহস্পতিবার উপজেলার হতেয়া কাজীপাড়া সালাফিয়া মাদ্রাসা মাঠে ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি ১৬ বছর নির্বাসন কাটিয়ে যেদিন ঢাকায় ফিরেছিলাম সেদিন যত মানুষ হয়েছিল, বাংলাদেশের ইতিহাসে বিমানবন্দরে এত মানুষ হয় নাই। সেদিন শেখ হাসিনা আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদেছিলেন। আর সেই শেখ হাসিনা মানুষকে চিনেন না, জানেন না, তার কাছে মানুষের কোনো মূল্য নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হলেন বাংলাদেশের মানুষের প্রধান সেবক। কিন্তু তিনি যা খুশি তাই করছেন। তার মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের বলেন- রাজাকারের বাচ্চা! আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হতাম এক ঘণ্টার মধ্যে ঘাড় ধরে মতিয়া চৌধুরীকে মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দিতাম।

বঙ্গবীর বলেন, এ দেশের মানুষকে মতিয়া চৌধুরী বলে রাজাকারের বাচ্চা! ওদের কাছে সবাই রাজাকার? আজকে তো দেখছি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক নারী সেও তো রাজাকার, সেও তো ঘুষ খায়। এ দেশের মানুষের কোনো মর্যাদা নেই। মুক্তিযোদ্ধাদেরও কোনো মর্যাদা নেই।

ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি হুমায়ুন খানের সভাপতিত্বে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এটিএম সালেক হিটলু, উপজেলা কমিটির সভাপতি আতোয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মীর জুলফিকার শামীম, কেন্দ্রীয় যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিবুন নবী সোহেল, আবু জাহিদ রিপন, নাজমুল তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।