ওবায়দুল কাদেরের হার্টে ব্লক, নেওয়া হচ্ছে সিঙ্গাপুর
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের হার্টে ব্লক ধরা পড়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ রোববার সকালে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দলের সাধারণ সম্পাদকের মেডিকেল ইস্যুতে চিকিৎসকরাই বলবেন। আমাদের দলের পক্ষ থেকে উনাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
‘উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাঁকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ করছি। আশা করছি, তাঁকে সহসাই সিঙ্গাপুর নিয়ে যেতে পারব,’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান বলেন, ‘আজ রোববার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন ওবায়দুল কাদের। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ইজিসি করা হয়। প্রথমে ইসিজি ভালোই ছিল। পরমুহূর্তেই দেখা যাচ্ছে, সিইসি স্লো হয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর দেখি উনি শ্বাস নিতে পারছেন না। তার মানে ধরে নিলাম কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে গিয়েছিল।’
‘তারপর এনজিওগ্রাম করা হয়। এতে দেখা যায়, তাঁর তিনটি রক্তনালি ব্লক। একটা নাড়ি খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন উনি মোটামুটি স্টেবল। কিন্তু স্টেবল থাকলেও বলা যাবে না যে স্টেবল। এটা যেকোনো সময় আনস্টেবল হয়ে যেতে পারে।’
সৈয়দ আলী আহসান আরো বলেন, ‘এখন পরবর্তী চিন্তা করছি, যদি কোনো ব্যবস্থা থাকে উনাকে বাইরের দিকে পাঠিয়ে দেব।’
পরে হাসপাতালের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘রক্তনালিতে ব্লক পাওয়া গিয়েছিল, হার্ট অ্যাটাক যার জন্য হলো, একটা সরাইয়া দেওয়া হইছে।’
যদি অপারেশনের প্রয়োজন হয়, তাহলে সেটা ২৪ ঘণ্টা পর জানা যাবে বলেও জানান উপাচার্য। এর সব ধরনের প্রস্তুতিও রয়েছে বলে জানান তিনি। এ সময় তাঁর পাশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, অযথাই যেন ভিড় করে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটানো না হয়। যদি তাঁর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কোনো কিছু জানার দরকার হয়, তাহলে যেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেনে নেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে যদি ওবায়দুল কাদেরকে বিদেশ নিতে হয়, সেটিও করা হবে। চিকিৎসক যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটিই করা হবে। প্রধানমন্ত্রী সব বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন।’
আজ ভোরে ফজরের নামাজের পর পরই নিজ বাসায় শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন ৬৭ বছর বয়সী আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক। পরে তাঁর স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও দলের নেতাকর্মীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
ওবায়দুল কাদেরের একান্ত সচিব গৌতম চন্দ্র জানান, মন্ত্রীকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের কার্ডিয়াক বিভাগে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন