ওয়ার্নার ঢাকা থেকেই গাইলেন ‌‘‌হ্যাপি বার্থডে টু ইউ’

একটা সময় ছিল যখন জাহাজে করে নানা দেশ সফরে যেতেন ক্রিকেটাররা। তখন দেখা যেত, এক সফরেই চার-পাঁচ মাস গায়েব! মানে, পরিবার ছাড়া এত দিন বাইরে থাকতে হতো ক্রিকেটারদের। সেই সময় তাই ক্রিকেটারদের স্ত্রীদের মজা করা বলা হতো ‘ক্রিকেট উইডো’—মানে, ক্রিকেট বিধবা! এখন জাহাজের বদলে বিমান এলেও পরিস্থিতি কিন্তু পাল্টায়নি। ক্রিকেটারদের সেই আগের মতোই বিদেশ-বিভুঁইয়ে থাকতে হয় পরিবার ছাড়া।

বাংলাদেশ সফরে এসে ডেভিড ওয়ার্নারও হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন পরিবার ছাড়া থাকার জ্বালা। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার ‘আয়রনওম্যান’ ক্যানডিস ফ্যালজোনের সঙ্গে জীবনের গাঁটছড়া বাঁধার পর তাঁদের সংসার আলোকিত করেছে দুই মেয়ে আইভি মায়ে ও ইন্ডি রায়ে। দুটি মেয়েই ওয়ার্নারের চোখের মণি। বিদেশ সফরে থাকাকালীন খেলার বাইরে ইনস্টাগ্রাম কিংবা টুইটারে দুই মেয়েকে নিয়ে পড়ে থাকেন ওয়ার্নার। এবার বাংলাদেশ সফরে এসেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।

রোববার অস্ট্রেলিয়ায় পালিত হয়েছে ‘ফাদার্স ডে’। দেশটিতে এদিন সবাই বাবাদের নানা রকম উপহার দেয়। এখন তো সামাজিক মাধ্যমে বাবাকে স্মরণ করার চল এসে গেছে। বাংলাদেশ সফরে আসা অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়েরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি দিয়ে স্মরণ করেছেন বাবাদের। আবার তাঁদের অনেকে তো নিজেও এখন বাবা। কিন্তু খেলার জন্য সন্তানের টান ভুলে থাকতে হচ্ছে তাঁদের।

ভাগ্য ভালো প্রযুক্তির এই যুগে দূরত্ব আর বাধা নয়। অস্ট্রেলিয়ার বাবা দিবসে বড় মেয়ে আইভির সঙ্গে ওয়ার্নার তাই ভিডিও কলে কথা বলেছেন। আর সে সময়ে স্ক্রিনশট নিয়ে দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। সেখানে লিখেছেন, ‘ফেস টাইমকে ধন্যবাদ, সৌভাগ্যবশত জন্মদিনের গানটা গাইতে পেরেছি আইভি মায়ের জন্য। বাবা দিবসে গোটা পরিবার নিয়ে ওকে বিস্ময় উপহার দিয়েছে ক্যানডিস। দুঃখিত (আইভি), বাবা তোমার পাশে ছিল না। কিন্তু আগামী সপ্তাহে তোমার জন্মদিনে অবশ্যই তুমি আমার সঙ্গে থাকবে।’

আগামী সোমবার তৃতীয় জন্মদিনের কেক কাটবে আইভি। সূত্র: ইনস্টাগ্রাম।