কথা শোনেনি মুশফিক : পাপন

কিপিং করার কারণে চারে ব্যাটিং করা হয়ে ওঠে না মুশফিকের। কারণ টানা কিপিংয়ের পর টপ অর্ডারে ব্যাটিং করলে অনেকটা ধকল যাবে তার উপর। সেদিক বিবেচনায় নাকি চারে ব্যাট হাতে নামানো হয় না মুশফিককে। কিন্তু ক্রিকেটবোদ্ধারা অনেকের অভিমত, মুশফিক কিপিং ছেড়ে পুরোপুরি ব্যাটিংয়ে মন দিলে ভালো হতো। তাছাড়া টেস্টে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চার নম্বর জায়গাটা মুশফিকুর রহিমের জন্য যুতসই হবে বলে তাদের ধারণা।

চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাটিং অর্ডার উলট-পালটের পর সংবাদ সম্মেলনে টাইগার দলনেতা মুশফিকুর রহিমকে প্রশ্ন করা হয়েছিল দলে তার ভূমিকা কী? জবাবে মুশি বলেন, ‘এসব আমার ইচ্ছাতে হচ্ছে না। আমি যে শ্রীলঙ্কাতে কিপিং করিনি এটাও আমার ইচ্ছাতে ছিল না। আমার কিপিংয়ে কখনোই আপত্তি ছিল না। আমি বার বার বলেছি এখানে আমি একজন খেলোয়াড় হিসেবে ৪০-৫০ বছর খেলবো না, হয়তো ৫-৬ বছর খেলবো। আমি চেষ্টা করি আমার দলের জন্য যতটুকু সম্ভব সেরাটা দেওয়ার। সেখানে অধিনায়কত্ব না থাকলেও আমার কোন সমস্যা নেই। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যেভাবে চায়, আমি সেভাবে প্রস্তুত।’

এদিকে আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপন শোনালেন ভিন্ন কথা। ‘চট্টগ্রাম টেস্টে মুশফিককে চারে খেলতে বলা হয়েছিল কিন্তু কথা শোনেনি মুশফিক।’

নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘দুই ইনিংসেই বিশেষ করে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার জন্যই আমরা ম্যাচটা জিততে পারিনি। এটা নিয়ে আফসোস করার কোন কারণ নেই। এতো বছর পর আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছি এবং এই সিরিজটা ১-১ ড্র করেছি এটাই আমাদের জন্য একটা বিরাট প্রাপ্তি।’

দলের গেমপ্ল্যান অনুসারে আসন্ন সাউথ আফ্রিকা সফরের স্কোয়াডে পরিবর্তন আসতে পারে বলেও জানান পাপন। ‘আমার মতে বিজয় (এনামুল হক) একটা বিকল্প। আপনারা শুনলে অবাক হবেন, আমি এরিমধ্যে পরশুদিনই ওর নামটা বলেছি। আমি বলেছি, ডানহাতি অপশন কি কি আছে সেটা দেখো।’