কলাপাড়ায় অনিয়মের প্রতিবাদ করলেই মামলার হুমকি দেন শিক্ষক আইয়ূব আলী

শিক্ষার্থীদের পাঠদানে কম সময়ে থাকা ও অনিয়মিত ক্লাসে আসার প্রতিবাদ করলেই মামলা দেওয়ার হুমকিসহ নানান অভিযোগ মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, রয়েছে একদিন ছুটি নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে বেশ কয়েকদিন ছুটি কাটানোর অভিযোগ। আর মানুষ গড়ার কারিগর হয়েও একাধিক মামলা নিয়ে আদালত প্রাঙ্গনেই সময় পার করেন এই শিক্ষক, এমন অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউপির আরামগঞ্জ আলিগঞ্জ দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক মো. আইয়ূব আলী। প্রতিষ্ঠানের নিয়মকানুন উপেক্ষা করে একাধিকবার ছুটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অমনযোগী থাকেন তিনি। এতে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম। তবে তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেই মামলার হুমকি প্রদান করেন এমন অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির জেষ্ঠ শিক্ষকদের।

এই প্রতিষ্ঠানের সহকারী সুপার মাওলানা মো. আতাউর রহমান বলেন, আমাদের বাংলা বিভাগের শিক্ষক আইয়ূব আলী একাধিকবার ছুটি নেওয়ায় আমি তার কাছে জানতে চাই। কিন্তু তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মামলার হুমকি দেয়। এমনকি পরে মাদরাসার সুপারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মাদরাসার সুপার মাওলানা মোর্শেদুল আলম সংবাদ কর্মীদের ক্যামেরায় বলেন, শিক্ষক আইয়ূব আলী অনেক সময়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন, অনেক সময় ফোন করেও বলেন তিনি আসতে পারবেন না। এছাড়া অনেক সময়ে মাদরাসা থেকে আগবাড়িয়ে চলে যান, আবার ইচ্ছে মতো করেই আসেন।

নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী অভিভাবকরা জানান, আইয়ূব আলী হুজুর সকাল ১০ টার পরিবর্তে প্রায় দিনই বেলা ১১ টা বা তারও পরে মাদরাসায় আসেন । এছাড়া উপস্থিত হাজিরা খাতায় চলতি মাসেও বেশ কয়েকদিন অনুপস্থিত রয়েছেন এই শিক্ষক এর সত্যতা মিলেছে। এছাড়াও পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে ছুটির আবেদন করে ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পাশাপাশি একাধিক মামলা নিয়ে আদালত প্রাঙ্গনেই সময় কাটান বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তবে এবিষয়ে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক আইয়ূব আলী বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে ছুটির আবেদন করেছি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবী করেন ।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানে দূর্নীতি অনিয়মের বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলার পিছনে আমার হাত রয়েছে এমন সন্দেহে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।