পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অনার কিলিংয়ের ছায়া দেখা গেল। ২৬ বছর বয়সী যুবতীকে খুন করল তারই পরিবারের সদস্যরা। সানা চিমা নামের ওই যুবতীকে তার নিজের বাবা, দাদা ও কাকার হাতেই খুন হতে হলো। তার একটাই আপত্তি ছিল। তা হলো- নিজের কাকাকে সে বিয়ে করতে পারবে না। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রচণ্ড চাপ দেয়া হচ্ছিল কাকাকেই তাকে বিয়ে করতে হবে। কিন্তু ওই যুবতী নারী তার সিদ্ধান্তে অটল কোনো ভাবেই তিনি কাকাকে বিয়ে করবেন না। আর যার শেষ পরিণতি হিসেবে তাকে নির্মম ভাবে খুন হতে হলো।

এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।

এ ঘটনায় পুলিশ সূত্রের খবর হলো- পরিবারের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে বলে যুবতীর দেহটি কবর দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ভাইরাল হতেই পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করতে নেমে পড়েছে। প্রাথমিক তদন্তে‌ উঠে এসেছে ওই যুবতী মেয়েটির বাবা গুলাম মুস্তাফা সম্পর্কে কাকাকে বিয়ে করতে হবে বলে তাকে চাপ দিচ্ছিলেন।

আর সানার দাবি ছিল, বিয়ে তিনি করতে চান। তবে কাকাকে নয়, ইতালির এক বাসিন্দাকে। কিন্তু এখানে কোনো প্রেম বা প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল কিনা তা এখনো জানা যায়নি। এ কারণে সানাকে খুন হতে হয়েছে কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ।

এদিকে, পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে অন্তত ৫০টি অনার কিলিংয়ের ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি সানার মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও তারা খতিয়ে দেখছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।