কাঠালিয়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে নারী-শিশুসহ ৯ পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় অবসরপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষক আঃ আজিজ ও তার ছেলে মেহেদী হাসান সিহাবের মামলা ও হত্যার হুমকির ভয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে নারী ও শিশু সহ ৯ পরিবারের সদস্যদের সংবাদ সম্মেলন।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় কাঠালিয়া প্রেসক্লাব সভাকক্ষে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার ভায়েলাবুনিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ এর ভাইয়ের ছেলে মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন। তার চাচা ঢাকা মিডফোর্ড হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষক আব্দুল আজিজ তাদের ৯টি পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ হয়রানি করে আসছেন।

তার ছেলে মেহেদী হাসান সিহাব কেন্দ্রেীয় বিএনপির এক নেতার সাথে তার বাবার ছবি আমার মোবাইলে পাঠিয়ে দেশ ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। সে আমাদের ৯টি পরিবারের জমাজমি জোর পূর্বক দখলে নিয়েছেন। ২০০০ সালে আমার পিতার মৃত্যু বরণ করার পর সকল কাগজপত্র সে গোপন করে ফেলে। আমাদের ওয়ারিশী সম্পত্তি কোনমতেই তার কাছ থেকে বুঝে নিতে পারছি না বা কাগজপত্র আমাদের দিচ্ছে না। আমি তুরস্ক প্রবাসী, বিদেশে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশে আমাকে প্রধান আসামী করে প্রতারনা মূলক একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।

সম্মেলনে ভাই আবুল হাসেম সেলিম জানান, আমার ভাই আব্দুল আজিজ আমাকে চাকুরী দেয়ার কথা বলে ৯৬ হাজার টাকা নিয়ে চাকুরী দেননি এবং টাকা ফেরৎ দেইনি। আমি ৫টি কন্যা সন্তান নিয়ে মানবতার জীবন যাবন করছি। ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাচ্ছি। সেখানেও আব্দুল আজিজের লোকজন পাঠিয়ে আমাকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

বোন আসমা আক্তার ননি বিভিন্ন অভিযোগ করেন-আমার ভাই আব্দুল আজিজ পিতার সম্পত্তি দেওয়া তো দুরের কথা আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ৯টি পরিবারের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আব্দুল আজিজের ভাই ফারুক হাওলাদার, আবুল হোসেন, রুহুল আমিন, আঃ মান্নান, বোন আসমা আক্তার, হেপী বেগম, রানী বেগম, ভাইয়ের স্ত্রী রুমা বেগম, হামিদা বেগম, ভাতিজী-তাবাচ্ছুম সহ তিন জন শিশু।

অভিযোগের বিষয়ে মিডফোর্ড হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত হিসাবর রক্ষক আব্দুল আজিজের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমি ভাই এর কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। বর্তমানে কোটে মামলা চলমান আছে। আমাদের ওয়ারিশী সম্পত্তির নামজারীর কাছ চলছে। নামজারি হয়ে গেলে ভাই-বোনদের যার যার অংশ থাকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।