কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন বড় ভুল ছিল : মেজর হাফিজ
ডক্টর কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচনে যাওয়া বিএনপি’র জন্য একটা বড় ভুল ছিলো- এমনটাই মনে করেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদের। ড. কামালের জনসম্পৃক্ততা, ভোটের অভিজ্ঞতা ও আদর্শিক ভিন্নতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তার চেয়ে অনেক যোগ্য নেতা বিএনপিতেই আছেন।
তবে এ নিয়ে এখনই প্রতিক্রিয়া জানাতে চায় না ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম। তাদের মতে, এই নির্বাচনে ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।
গেলো বছরের ১৩ই অক্টোবর বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডিসহ কয়েকটি দল নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার-বিরোধী এই রাজনৈতিক মঞ্চের হাল ধরেন ড. কামাল হোসেন।
শুরু থেকেই জোটের নেতৃত্ব ড. কামাল হোসেনের হাতে দেয়া নিয়ে বিএনপি’র নেতাদের মধ্যে ছিলো মতবিরোধ। তবে রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে বিষয়টি সেভাবে সামনে আনেন নি তারা।
তবে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবির পর নড়েচড়ে বসেছেন বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ। দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদের মতে, ড. কামাল হোসেনকে নেতা বানিয়ে ভুল করেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘জনগণের সাথে কোন সম্পর্ক নাই, যারা ভোটের রাজনীতি কখনো করেননি তারা এখন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ন্তারূপে কথাবার্তা বলছেন। বিএনপির মতো বড় দল যে তাদের দ্বারস্থ হয়েছে এটিকে আমি সঠিক বলে মনে করি না।’
মেজর হাফিজ বলেন, ‘আদর্শগত বিভেদ আছেই। সুতরাং আদর্শের ঐক্য না থাকলে তাদের সাথে জোট করেও খুব একটা সুবিধা হয় না। আমরা শুধু অন্যদেরকে নেতা বানিয়ে দিয়েছি। আমাদের বিএনপির অনেক সিনিয়র, যোগ্য, ক্যাপাবল নেতা আছেন। তাদেরকে নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে পারতাম।’
বিএনপিকে জোটগত রাজনীতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ দিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এ নেতা।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির একা পথ চলাই ভালো বলে আমি মনে করি। বিএনপি যথেষ্ট শক্তিশালী দল। আমাদের কোনো জোটেরও প্রয়োজন নেই। শুধু শুধু নাম-গোত্রহীন, জনসমর্থনহীন লোকজনকে পাদপ্রদীপের আলোয় আনার কোনো প্রয়োজন নেই। বিএনপির নিজেরই এখন এগিয়ে চলা উচিৎ।’
মেজর হাফিজ বলেন, ‘আমাদেরও ভুল-ভ্রান্তি থাকতে পারে। সেটি নিয়ে আত্মসমালোচনা করে, জনগণকে সাথে নিয়ে, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
এদিকে ড. কামাল হোসেন ও জোট নিয়ে এমন মন্তব্যের জবাব দেয়ার সময় এখনো আসেনি বলে মনে করেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমি ওই বিতর্কে যাবো না। আমি বলবো যে, যার যার দলের মূল্যায়ন হতেই পারে। সেটা নেতিবাচক হতে পারে, ইতিবাচকও হতে পারে। মানুষের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা আমরা দেখেছি এবং এখনো পর্যন্ত এত বড় ঘটনা ঘটার পরেও, জালিয়াতির পরেও মানুষ মনে করে, কামাল হোসেন স্যার জাতিকে নেতৃত্ব দেবেন।’
আলোচনা-সমালোচনা যাই হোকে, বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী এই নেতা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন