কারারক্ষী নিয়োগে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চান হাইকোর্ট

দেশের কারাগারগুলোতে কারারক্ষী পদে ৮৮ জনের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কারা মহাপরিদর্শককে (আইজি প্রিজন) এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে সিলেট কারাগারে অন্যজনের পরিচয়ে ১৮ বছর ধরে কারারক্ষীর চাকরি করা জহিরুলকে সরিয়ে প্রকৃত নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিকে কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একাত্তর টেলিভিশনে প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে দায়ের খরা রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।

বুধবার (৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশন হলেও যোগদানপত্র পাননি।

১৮ বছর পর জানতে পারেন প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন আরেকজন। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিও ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। তবে এরপরও প্রতারণা করে চাকরি নেওয়া ব্যক্তিকে চাকরিচ্যুত না করায় কারা অধিদপ্তরে আবেদন করেন প্রকৃত জহিরুল ইসলাম এশু। তার সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে উষ্মা প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেন, এখন আর বস্তায় নয়, ঘুষ নিচ্ছে ডলারে। এ সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক কী করে- এমন প্রশ্নও তোলেন হাইকোর্ট।

গণমাধ্যমের খবরেজানা যায়, ছদ্মবেশ ধারণ এবং বিভিন্ন জাল-জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম ও সিলেটে ২০০ কারারক্ষী চাকরি করছেন। পরে কারা কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে ৮৮ জনের জালিয়াতি প্রমাণ মেলে। এর মধ্যে এমন তিনজন পাওয়া যায় যারা অন্য আরেকজনের পরিবর্তে চাকরি করছেন। জহুরুল ইসলামের নামে একজনের পরিবর্তে কারাগারে চাকরি করছেন একই নামের আরেকজন।