কালীগঞ্জে স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে ক্লাস নিলেন ইউএনও জহির ইমাম

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বারাজান এসসি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন গিয়ে ক্লাস নিয়েছেন নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম। সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ক্লাস নেন তিনি।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রায় আধা ঘণ্টা ক্লাস নেন তিনি। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণা ও শিক্ষামূলক বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম বলেন, নিয়মিত পড়াশোনা ছাড়া ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব নয়। অধ্যবসায়ী মানুষ সফল হবেই। মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। বাবা-বাবা-মায়ের কথা শুনতে হবে। শিক্ষকরা যে পড়াশোনা দেন তা জমিয়ে রাখা যাবে না। প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করতে হবে। কখনো হতাশ হবে না। আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বপ্ন থাকতে হবে তাহলে বড় হওয়া যাবে। যেটা ভালো লাগে না, সেটা করবে না। তোমরা চাইলেই দেশটা পরিবর্তন করে দিতে পার। তাই পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হতে হবে। তথ্য ও প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো গ্রহণ করতে হবে।

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিকুল ইসলাম বলেন, ইউএনও স্যারকে কখনো সামনে থেকে দেখিনি। আজকে প্রথম দেখলাম। আমাদের কাছে খুব ভালো লেগেছে। এই স্মৃতি সারাজীবন মনে থাকবে।

আজিজুল হাকীম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ইউএনও স্যার যখন ক্লাসে ঢোকেন, তখন বুঝতেই পারিনি তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার। ইউএনও স্যারকে শিক্ষক হিসেবে পেয়ে আমরা আনন্দিত। তিনি আমাদের ক্লাস নেবেন কখনো কল্পনাও করিনি। আমাদের লেখাপড়া শিখে বড় হওয়ার উৎসাহ দিয়েছেন।

ইয়াদ হাসান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ইউএনও স্যারের কেবল নাম শুনেছি। আজ দেখলাম স্যারকে। তিনি অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। সবাই কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনেছি। আমরা মানার চেষ্টা করব।

বারাজান এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, ইউএনও স্যার আকস্মিক স্কুলে এসে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে লেখাপড়ার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এরপর শিক্ষকদের সঙ্গে স্কুলের নানা বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। আমরা স্যারকে এভাবে পেয়ে আমরা সবাই খুশি হয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম বলেন, বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের খবর নিতে আজ সেখানে গিয়েছিলাম। সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাসে গিয়েছি। তাদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ।

এ সময় কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবিদা সুলতানাসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।