বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) কেউ পার পাবেন না। আপনাদের কালো তালিকা হচ্ছে। একদিন সব অন্যায়, অবিচারের হিসাব আপনাদেরকে দিতে হবে। আপনারা জঘন্য মানবধিকার লঙ্ঘিত কাজ করছেন। এটার জন্য আপনাদেরকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

রমজানে বিএনপির নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল করতে দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘রমজান মাসে দেশব্যাপী বিএনপি ইফতার মাহফিলগুলোতে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। কোথাও কোথাও সরকারি দলের সঙ্গে যোগসাজশ করে পুলিশ চড়াও হচ্ছে, আক্রমণ চালাচ্ছে।’

তিনি বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তো দূরে থাক ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান করতেও হিংসার আশ্রয় নিয়েছে। সারাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বাধা এবং হামলা করছে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। এ ধরনের আক্রমণ বা বাধা শুধু রাজনৈতিক দলের ওপর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা নয়, বরং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ওপরও আক্রমণ।

সরকারী বাহিনীর তাণ্ডবে মানুষের জীবনের অধঃপতন নেমে এসেছে এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, পবিত্র রমজানেও দেশজুড়ে চলছে হত্যা, গুম, অপহরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ গণগ্রেপ্তার। একদিকে সরকারী বাহিনীর তাণ্ডব অন্যদিকে শাসকদলের নেতাকর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হত্যা, জবরদখল, লুটপাট চলছে। ফলে সামগ্রিকভাবে সমাজ জীবনে নেমে এসেছে অধ:পতনের চরম অন্ধকার। ধর্ষণ, গণধর্ষণ, শিশু নির্যাতন এখন দেশে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। দেশে কোনো সরকার আছে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রটি যেন এখন চরম অরাজক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার নৈরাজ্যতার সকল বিভিষিকা নিয়ে সর্বত্র রাজত্ব করছে। তাদের এই ভয়াবহ দুঃশাসনের কারণে তারা যে সম্পূর্ণরূপে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সেই কারণে জনগণকে বাদ দিয়ে কীভাবে ক্ষমতায় থাকা যায় তারই ষড়যন্ত্রে সরকার মেতে উঠেছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।