কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণ ঠেকাতে মাঠে তদারকিতে কৃষি বিভাগ

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার আমন আবাদে মাজরা পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। রোপা আমন ধান ঘরে তুলা নিয়ে সংকায় পড়েছেন তারা।
এ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা বাড়ে কৃষি বিভাগের।তারা সার্বক্ষনিক মাঠ পর্যায়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা যায়।মাজরা পোকা দমনের করনীয় সম্পর্কে উপজেলা কৃষি অফিস তদারকি করতে মাঠে প্রচারপত্র বিতরণ ও পরামর্শ দিচ্ছে।

(১০ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার উপজেলা গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর, পানান, ডাংরী, গাঙ্গাটিয়া,পুমদী ইউনিয়নের জগদল, সহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের সরেজমিনে গিয়ে পরামর্শ দেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ এনায়েতুল ইসলাম, ব্লক কর্মকর্তা মায়মুনা আক্তার,মাহবুব হাসান।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনায়েতুল ইসলাম জানান, এ বছর খরা বৃষ্টি কারনে ধান ক্ষেতে মাজরা পোকা আক্রমণ বেশি হয়েছে। আমাদের ব্লকের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর।

এ বছর হোসেনপুর উপজেলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন কৃষি অফিস। কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন মিলে ৮ হাজার চারশত ৭৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান রোপণ করা হয়েছে।

যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।পোকা দমন করা গেলে আর প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে সোনার ফসলে কৃষকের গোলা পরিপূর্ণতা পাবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।

এ বিষয়ে হোসেনপুর উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম শাহজাহান কবির জানান, মাঠে আমাদের সার্বক্ষণিক নজরদারি আছে, চারা রোপনের আগে দানাদার বিষ প্রয়োগ করতে হয়। অনেক কৃষক তা করে নাই। বাজারের সরকার নির্ধারিত অনেক কীটনাশকের ডিলার আছে, তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির বিষ আছে জমিতে দিতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তাদেরকে মনিটরিং এর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আমাদের ব্লকের দায়িত্ব প্রাপ্তরা কৃষকদের পরামর্শ বিষয়ে আমরা পার্চিং পদ্ধতিতে ক্ষেতের পোকা দমনের পাশাপাশি জমিতে কীটনাশক স্পে করারও পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আর আমাদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করলে পোকা দমনে সফল হবে কৃষক আর ফলনও ভালো হবে।