কীভাবে বুঝবেন আশেপাশে কারা আপনার ক্ষতি করতে চাইছে?
পাড়া, চায়ের ঠেক কিংবা কর্মক্ষেত্রে নিত্যদিনই নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়ে থাকে কমবেশি সকলেরই। যাঁদের মধ্যে কারও সঙ্গে জমে ওঠে বন্ধুত্ব, তো কোনও সম্পর্ক আবার দীর্ঘস্থায়ীও হয়ে যায়। কিন্তু দুনিয়ায় প্রতিটি মানুষের স্বভাব-চরিত্র, আচরণ-উদ্দেশ্য আলাদা আলাদা। সুতরাং কে আপনার দিকে সত্যি বন্ধুতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে, আর কে সেই বন্ধুতার সুযোগ নিয়ে আপনার পিঠে ছুরি মারতে চলেছে, তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে উপায় আছে। কিছু সহজ বিষয় ভালভাবে খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন, আশেপাশের কারা আপনার ক্ষতি করতে চাইছে। তা কোন ধরনের মানুষ আপনার ক্ষতি করতে পারে?
১. এ ধরনের ব্যক্তি ভাল বিষয়ের মধ্যে থেকেও খারাপটাকে খুঁজে এনে আপনার সামনে তুলে ধরেন। ধরুন, আপনি বললেন, আজ সকালে রোদ উঠেছে, আবহাওয়াটা বেশ মনোরম। সেই ব্যক্তি যুক্তি দিয়ে আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করবে বিকেলে বৃষ্টি হতেই পারে। অর্থাৎ সব বিষয়ে নেতিবাচক কথাবার্তা বলাই এঁদের স্বভাব।
২. আপনি বিপদে পড়লে বা আপনার প্রয়োজনে এই ধরনের ব্যক্তিদের কখনও নিজের পাশে পাবেন না। অদ্ভুত অজুহাত দিয়ে তাঁরা আপনাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে নিজেদের সময়মতো তাঁরা কাছে এসে হাসি মুখে ভাব জমাবে। এই ইঙ্গিত আপনার জন্য নিশ্চয়ই যথেষ্ট!
[বিয়ে টিকিয়ে রাখতে এই কাজটা অবশ্যই মন দিয়ে করুন]
৩. নিজেদের প্রয়োজনে আবেগপ্রবণ ব্যক্তিদের নানাভাবে ব্যবহার করে থাকেন এঁরা। আপনার আবেগ বা সহানুভূতি বা কোমল মানসিকতার সুযোগ কাজে লাগাতে পটু তাঁরা। কার্জসিদ্ধির জন্য মানসিকভাবে তো বটেই, শারীরিকভাবেও আপনাকে কাজে লাগাতে পারে এঁরা। এক্ষেত্রে খুব সহজ একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। কোনও ব্যক্তির আপনার সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর একমাত্র কারণ হতে পারে, আপনার থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করা। কিন্তু সেই ব্যক্তি যে প্রথম থেকেই আপনার ক্ষতি করতে চাইছে, তা আপনি টেরও পাননি। সহজ বিশ্বাসেই তাঁকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন। বন্ধুত্বের সম্পর্কেও অনেকে এভাবেই কাজে লাগায়।
৪. এঁরা আপনার বা আপনার আশেপাশের পরিস্থিতির বিষয়ে সবসময় নালিশ জানাতে থাকেন। আপনাকে জোর করে বোঝাতে থাকেন, আপনি যা করছেন তা একেবারেই ঠিক নয়। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার আত্মবিশ্বাসে জোর ধাক্কা লাগে। কোনও কাজেই আপনাকে উৎসাহ দেন না এঁরা। বরং উলটে কোনও নয়া উদ্যোগ নিতে চাইলে আপনাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন।
৫. আপনার বন্ধু স্থানীয় কেউ কি আপনার হেয়ার স্টাইল, কথা বলার ধরন, আপনার ব্যক্তিত্ব এমনকী আপনার পছন্দ-অপছন্দগুলিও পালটে দেওয়ার চেষ্টা করছেন? তাহলে এখনই সাবধান হোন। সেই ব্যক্তি আপনাকে তাঁর মতো করে চালনা করার চেষ্টা করছেন। একটা সময় এমন হবে, আপনি তাঁর পরামর্শ ছাড়া কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারবেন না। এমন ক্ষতি হতে দেবেন না।
৬. পরনিন্দা-পরচর্চায় এঁরা দারুণ পটু। আপনি কোনও বিষয়ে ভাল কথা বললেও তা শুনতে নারাজ তাঁরা। অন্যের সাফল্যে হিংসা করাই স্বভাব এঁদের। ফলে আপনাকে যে কোনওভাবেই সফল হতে দেবে না, তা স্পষ্ট। আপনার কোনও প্রিয়জন ভাল কোনও কাজ করলে তার মধ্যে থেকে খুঁত বের করে দেখিয়ে দেবেন এই ধরনের স্বার্থপর ব্যক্তিরা। নিজের লাভ ছাড়া এঁরা আর দুনিয়ায় কিছুই বোঝেন না। শুধু নিজেরা কী কী করেছেন, তা জাহির করতেই দিনরাত ব্যস্ত থাকেন।
৭. আর একটি অত্যন্ত খারাপ দিক রয়েছে এই ব্যক্তিদের। তাঁরা কোনওভাবেই চান না আপনি ভাল ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখুন। ধরুন কর্মক্ষেত্রে আপনার বস-এর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ভাল। কিন্তু সেই ব্যক্তি কোনও না কোনওভাবে তা খর্ব করার চেষ্টা করবেন। আবার যাঁরা আপনার সত্যিই ভাল চান, তাঁদের থেকে আপনাকে দূরে রাখার প্রয়াস চালাবে প্রতিনিয়ত।
তাই অন্যের কথায় প্ররোচিত না হয়ে নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখুন। আর চেষ্টা করুন এসব স্বভাবের মানুষদের থেকে দূরে থাকতে। কারণ দিনের শেষে আপনি নিশ্চয়ই নিজের ক্ষতি চাইবেন না।-সংবাদ প্রতিদিন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন