কী প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন সাকিব, জানালেন মেজর হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদের বাসায় গিয়ে কিংস পার্টিখ্যাত বিএনএমে যোগ দিয়েছিলেন ক্রিকেটার ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান।
নির্বাচনের আগে নতুন এ দলে যোগ দিতে মেজর হাফিজের হাতেই আবেদন ফরম তুলে দিয়েছিলেন ক্রিকেটের বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। এ ধরনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে।
ফলে ফের রাজনীতিতে আলোচনায় এসেছে কিংসপার্টি।
বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিনের বাসায় সাকিবের বিএনএমের সদস্য ফরম পূরণ করে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি পর্বের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। দলটির তৎকালীন সদস্য সচিব মেজর (অব.) মো. হানিফ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) কামরুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে নতুন দলে না গিয়ে সাকিব আল হাসান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
এদিকে মেজর হাফিজ দাবি করেছেন, এক আওয়ামী লীগ নেতার প্রস্তাব নিয়ে তার বাসায় জান সাকিব, তবে তিনি ওই প্রস্তাবে রাজি হননি।
এ বিষয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারের নীতি নির্ধারকদের একজন আমাকে অনুরোধ করেন তৃণমূল এবং বিএনএম দুইটি দলের একটির চেয়ারম্যান হতে। আমি কিছুদিন চিন্তাভাবনা করে জানিয়ে দিয়েছি আমি বিএনপিতেই থাকব। এটা থেকেই সে (সাকিব) আসছিল একসময়, একটি দলে যোগদান করতে। যেহেতু আমি আর আগ্রহ দেখায়নি সেহেতু সেও আর আগ্রহ দেখায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, এইসব নিউজ পুরনো জিনিস নিয়ে কে আছে? মন চাইলে করেন (নিউজ), না চাইলে না করেন।
জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে পরবর্তী সময়ে নতুন দলে না গিয়ে ইউটার্ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যোগদান করেন সাকিব আল হাসান।
বিএনএম সূত্র জানিয়েছে, দলের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনের বনানীর বাসায় একাধিক বৈঠক হয়েছে। হাফিজ উদ্দিন আহমদ দলের চেয়ারম্যান এবং সাকিব আল হাসান কো-চেয়ারম্যান হওয়ার কথা ছিল। তারা পরে সুবিধাজনক সময়ে যোগ দেবেন এই আশ্বাস দেওয়ায় দলটির কমিটি গঠনের সময় ওই দুটি পদ শূন্য রাখা হয়েছিল। পর্দার আড়ালে থেকেই হাফিজ উদ্দিন দলটির নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণে ভূমিকা রেখেছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত নানা রাজনৈতিক হিসাবনিকাশ না মেলায় দু’জনের কেউই নতুন দলে যোগদান করেননি।
তারা বিএনএমে যোগ না দেওয়া দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন