কুইন্স বরো প্রেসিডেন্টের সাথে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামে বৈঠক

কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডোনোভান রিচার্ডস এবং কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের মধ্যে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৪.০০ ঘটিকায় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কনস্যুলেটের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

কনসাল জেনারেল ও বরো প্রেসিডেন্টের মধ্যেকার উক্ত বৈঠকে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নানাবিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশ কমিউনিটির কল্যাণ, নিরাপত্তা এবং নিউইয়র্কের উপযুক্ত স্থানে শহীদ মিনার স্থাপনসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়। কনসাল জেনারেল ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। বাংলা ভাষাকে নিউইয়র্কে আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহার ও প্রসারের বিষয়ে প্রেসিডেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কনসাল জেনারেল। প্রসঙ্গক্রমে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ইতিমধ্যে স্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণের বিষয়টি তাঁকে অবহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে আজ যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তার বিবরণ দিয়ে কনসাল জেনারেল বলেন বাংলাদেশের উন্নয়ন আন্তর্জাতিক মহল দ্বারা প্রশংসিত। এসময় বাংলাদেশের সাথে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের অর্থনৈতিক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে ড. ইসলাম যোগ করেন যে বাংলাদেশের অর্থনীতি শুধু যে একটি মজবুত অবস্থানে রয়েছে তাই নয়, বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে আজ বিশ্ব দরবারে স্বীকৃত ও সমাদৃত। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে আরো বিকশিত করার লক্ষ্যে প্রবাসীদের গৃহিত নানামূখী উদ্যোগ ও কর্মসূচীর বর্ণনা করেন; যা দু’দেশের জনগণের মধ্যেকার যোগসূত্র ও বোঝাপোড়াকে আরো সুদৃঢ় করছে বলে কনসাল জেনারেল অভিমত ব্যক্ত করেন।

বরো প্রেসিডেন্ট নিউিইয়র্কে স্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণের বিষয়টি বিবেচনা করবেন মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন। প্রবাসী বাংলাদেশীদের উচ্চকিত প্রসংশা করে প্রেসিডেন্ট কমিউনিটির কল্যাণে আগামী দিনগুলিতে কনস্যুলেটের সাথে অধিকতর ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কুইন্স বরো অফিস ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের মধ্যেকার চলমান সহযোগিতা উত্তরোত্তর মজবুত ও গভীর হবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শহিদ মিনার নির্মানে ধারণাগত সুবিধা ও সহযোগিতার জন্য কনসাল জেনারেল কুইন্স বরো প্রেসিডেন্টকে শহিদ মিনারের একটি ডিজাইন ও একটি শুভেচ্ছা স্মারক শহিদ মিনার উপহার দেন।

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট কনসাল জেনারেলসহ সকল কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান।