কুবিতে ইএলডিসি’র উদ্যোগে ‘ফুড ফ্রন্টিয়ার্স ২.০’ রোড-শো
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) এন্ট্রপ্রেনিওরশীপ এন্ড লিডারশীপ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (ইএলডিসি) এর সহযোগিতায় স্কেলিং আপ নিউট্রিশন (সান/SUN) বিজনেস নেটওয়ার্ক কর্তৃক প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়েছে নিরাপদ খাদ্য উদ্ভাবন ও ব্যবসায়িক ধারণা বাস্তবায়ন বিষয়ক রোড-শো ‘ফুড ফ্রন্টিয়ার্স ২.০’।
মঙ্গলবার (১০ই জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত হয় এই ‘ফুড ফ্রন্টিয়ার্স ২.০’ রোড-শো। সেশনটিতে স্পিকার হিসেবে ছিলেন ক্যানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এর প্রফেসর এস এম আরিফুজ্জামান।
মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘ফুড ফ্রন্টিয়ার্স ২.০’ নামক প্রতিযোগিতা সম্মন্ধে অবগত করার উদ্দেশ্যে আয়োজিত হয় এই রোড শো। সেশনটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল এবং প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন।
‘ফুড ফ্রন্টিয়ার্স ২.০’ শিরোনামে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করছে স্কেলিং আপ নিউট্রিশন (সান/SUN) বিজনেস নেটওয়ার্ক, যা বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন/GAIN), এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিওএফপি/WFP) দ্বারা পরিচালিত হতে যাচ্ছে।
এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য পুষ্টিকর খাদ্য পণ্যকে নিম্ন বা সীমিত আয়ের ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্যে উদ্ভাবনী উপায়গুলো চিহ্নিত করা। পাশাপাশি টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা আনয়ন ও সামাজিক উদ্যোগে ব্যবসায়িক দক্ষতা আনতে তরুণ উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা তৈরি করা। একইসঙ্গে টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থার মাধ্যমে পুষ্টিকর খাদ্য পণ্যের চাহিদা তৈরি করা ও উদ্ভাবনী বিপণন ক্যাম্পেইন চিহ্নিত করা।
প্রতিযোগীতায় তিন ক্যাটাগরিতে ৬ জন উদ্যোক্তা এবং একজন ব্যক্তিকে পৃথকভাবে চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে। এই তিনটি ক্যাটাগরির মধ্যে একটি হচ্ছে নিম্ন আয়ের ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ’অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসায়িক মডেল’। দ্বিতীয়টি হচ্ছে ‘যুগান্তকারী প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন’ ধারণা। তৃতীয়টি হচ্ছে ‘উদ্ভাবনী বিপণন প্রচারাভিযান।’
এই আয়োজনে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে থাকছে জাতীয় ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের সংস্থা এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
এ বিষয়ে সান বিজনেস নেটওয়ার্ক এর অ্যাক্টিং এসবিএন কো-অর্ডিনেটর মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি স্বল্প আয়ের জনগণের জন্যে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং তরুণ সমাজকে এই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে সাবলম্বী এবং সচেতন করার লক্ষ্যে আমাদের এই প্রয়াস।
তিনি আরো বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ আমাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করেছে। আশা করছি এখান থেকে ভবিষ্যতে আমরা বেশ ভালো সংখ্যক উদ্যোক্তা পাবো। ভবিষ্যতে যেকোনো প্রতিযোগিতা কিংবা এরূপ সুযোগ থাকলে আমরা চেষ্টা করবো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাধান্য দেওয়ার।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন