কুমিল্লার মুরাদনগরে নামের ভুলে পরাজিত প্রার্থীর নামে গেজেট

কুমিল্লার মুরাদনগরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের গেজেট প্রকাশের পর বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সাধারণ সদস্য পদে জয়ী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী ও তার বাবার নামের স্থলে আপেল প্রতীকের প্রার্থী ও বাবার প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুজন প্রার্থী একই নামের হওয়ায় গেজেটে ভুল হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন বিজয়ী প্রার্থী।

নির্বাচন কমিশনের সূত্র অনুযায়ী, গত ৩১ জানুয়ারি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার টনকী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়। ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থী সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই ওয়ার্ডের একমাত্র কেন্দ্র সোনারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮৬০ ভোটারের মধ্যে ৫৩৮ জন ইভিএমে ভোট দেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, ফুটবল প্রতীক ২৬৪ ভোট, তালা ১২৫ ভোট, আপেল ১২৩ ভোট, মোরগ ২৫ ও টিউবওয়েল প্রতীক ১ ভোট পেয়েছে। ভোট গ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিনকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। তবে, নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত গেজেটে আপেল প্রতীকের জসিম উদ্দিনকে বিজয়ী দেখানো হয়েছে।

আপেল প্রতীকের প্রার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি ১২৩ ভোট পেয়েছি। নির্বাচন অফিসার ভুল করছে। গেজেট আমার নাম এসেছে। এখন আমি মেম্বার।’

ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী বলেন, ‘আমার নাম মো. জসিম উদ্দিন, পিতার নাম মো. ফুল মিয়া এবং আপেল প্রতীকের প্রার্থীর নাম জসিম উদ্দিন, পিতার নাম মো. চারু মিয়া মোল্লা। রিটার্নিং অফিসারের ভুলের কারণে এটি হয়েছে। আমি নির্বাচন অফিসে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি।’

এ বিষয়ে টনকী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তৌয়বুর রহমান তুহিন বলেন, ‘ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এ নিয়ে কারচুপির সুযোগ নেই। সোনারামপুর এলাকার মানুষ জসিম (ফুটবল) ভাইকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। অন্য কোনো জসিমকে জয়ী করেনি। এ নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।’

মুরাদনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেছেন, ‘রিটার্নিং অফিসারের ভুলের কারণে এটি হয়েছে। গেজেট প্রকাশ হয়েছে, শপথ হয়নি। সংশোধিত গেজেট প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই। টনকী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীক বিজয়ী হয়েছে।’

ভুলের বিষয়ে কথা বলতে টনকী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খুদে বার্তারও জবাব দেননি।

কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম বলেছেন, ‘দুজন প্রার্থী একই নামের হওয়ায় ভুল হয়েছে। বিষয়টি সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছি। নির্বাচনে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।’