কুষ্টিয়ায় জাতির জনকের ভাস্কর্য ভাঙচুরের পর কুমিল্লার সব ধরনের ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও স্মৃতিফলকে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া যে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্ব-স্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। কোথাও কোথাও ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা প্রহরীর সংখ্যা।

সূত্রমতে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে সিসি ক্যামেরা ছাড়াও অতিরিক্ত দুজন নিরাপত্তা প্রহরী যুক্ত করা হয়েছে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ডিগ্রি শাখায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ছয়টি সিসি ক্যামেরা ও উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় অবস্থিত কলেজ প্রতিষ্ঠাতা রায় বাহাদুর আনন্দ চন্দ্র রায়ের ভাস্কর্যে একটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বলয়ে থাকা সত্ত্বেও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালকে ঘিরে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের অধীন ভাস্কর্যগুলোতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমিন ভূঁইয়া জানান, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও কলেজ প্রতিষ্ঠাতার ভাস্কর্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া সিকিউরিটি গার্ডের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে কলেজের ম্যুরাল, ভাস্কর্য ও স্মৃতিস্তম্ভের নিরাপত্তা বাড়াতে অনুরোধ করেছি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এমরান কবির চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য আগে থেকেই সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিল। পরিস্থিতি বিবেচনায় দুজন গার্ড বিশেষভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুস ছালাম বলেন, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নিরাপত্তা বলয়ের ভিতরেই আছে। তারপরও আনসার সদস্যদের সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনো অপরিচিত ব্যক্তি বোর্ড আঙিনায় প্রবেশ করতে না পারে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মীর শওকত হোসেন জানান, ভাস্কর্য নিয়ে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি যাতে না তৈরি হয়, তার জন্য আমরা সজাগ রয়েছি।

পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ কুমিল্লায় স্থাপিত বিভিন্ন ভাস্কর্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ব্যক্তি উদ্যোগে বিশেষ করে ম্যুরালগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান করছি।