কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসতে লাগছে ১০ ঘণ্টা!
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা থেকে ঢাকা পর্যন্ত তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে দাউদকান্দির টোল প্লাজা থেকে শুরু হওয়া এই যানজট একেবারে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ছাড়িয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুরে এ চিত্রই দেখা গেছে।
কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন, দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে মাধাইয়া হয়ে কাঁচপুর ব্রিজ পেরিয়েছে এই যানজট। এর ফলে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় পৌঁছতে দুই ঘণ্টা সময় লাগার কথা থাকলেও এখন লাগছে অন্তত ১০ ঘণ্টা। দাউদকান্দি টোল প্লাজা এলাকায় টোল পরিশোধের জন্য দীর্ঘ সময় সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানোর কারণেই এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার সফিকুল ইসলাম জানান, মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ির অতিরিক্ত চাপ আর টোল প্লাজায় ধীরগতিই যানজটের মূল কারণ। তবে হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনে চলা যানবাহনগুলোর জন্য ব্রিজে রয়েছে দুই লেন। ফলে ব্রিজে ওঠার সময়ই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, যা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে। আর এতে ভোগান্তিতে পড়ছে রোগী, যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনগুলো।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এ যানজট নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছেছে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের ভূঁইঘর থেকে শুরু করে সাইনবোর্ড পর্যন্ত সড়কের দুপাশেই যানজট রয়েছে। সেইসঙ্গে যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুরের মদনপুর পর্যন্ত সৃষ্টি হয়েছে যানজট। ফলে রাজধানীর শনির আখড়া, সাইনবোর্ডসহ আশপাশের এলাকার মানুষদের হেঁটে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি নাফিজ আশরাফ জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের মহাসড়কগুলোতে ভোর ৫টা থেকে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার করে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দুই মহাসড়কে কয়েক হাজার যানবাহন আটকা পড়েছে।
ট্রাফিক পরিদর্শক তাসলিম হোসেন জানান, কাঁচপুর ও মেঘনা সেতুতে আলাদা দুটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়ায় যানজটের কারণ। তিনি বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা সেতু পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এবং কাঁচপুর থেকে নরসিংদীর পাঁচদোনা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
দুপুর সাড়ে ১২টায় বিকল যানবাহন দুটি সরানো হলে মহাসড়কে যানবাহন ধীরে ধীরে চলতে শুরু করে। তবে এই মহাসড়ক দুটিতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হতে বিকেল গড়াবে বলে জানান ট্রাফিক কর্মকর্তা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন